জল্পনার অবসান। অবশেষে তৃণমূলেই যোগ দিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিজেপি নেতা তপন সিনহা। মুকুল রায় যেদিন তৃণমূলে যোগ দেন, সেদিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙা টাউন হলে তৃণমূলের এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। গোবরডাঙ্গা পুরসভার প্রশাসক সুভাষ দত্ত তাঁকে দলে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে বাংলা ভাগ আটকাবো: উদয়ন
গোবরডাঙ্গায় ‘খোটেদা’ হিসাবেই পরিচিত তপন সিনহা। মুকুল রায়ের তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের দিনই একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছিলেন, বিগত কয়েকদিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমি জানতেও পারছিলাম না বা আমাকে জানানো হচ্ছিল না। একইসঙ্গে শারীরিকভাবেও আমি আর পেরে উঠছি না। তাই দায়িত্ব ছাড়ছি। তারপর থেকে তাঁকে ঘিরে দলবদলের জল্পনা শুরু হয়। বিজেপি বনগাঁ জেলার সভাপতি মনস্পতি দেবকে চিঠি দিয়ে পদত্যাগের কথা জানান তিনি।
তৃণমুল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের দলে ফেরানো নিয়ে রাজ্যজুড়ে পোস্টার রাজনীতি চলছে। তবে তপনবাবুর বিরুদ্ধে সেই ধরণের কোনও পোস্টার এখনও চোখে পড়েনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ জেলায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। তারপরেও দলে ভাঙন ধরায় চিন্তিত গেরুয়া শিবির। তপন সিনহার দলবদল নিয়ে মুখে কিছু না বললেও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তারা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের হেনস্থা করলেই হতে পারে জেল, নির্দেশ কেন্দ্রের
এদিকে তপনবাবুর পাশাপাশি শনিবার গোবরডাঙা শহরের বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শর্মিষ্ঠা বালা রায়ও তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁর দাবি, বিজেপিতে তিনি কাজ করতে পারছিলেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতেই শিবির বদল। এদিন বিজেপি-সিপিএম ছেড়ে প্রায় ৩০০ জন কর্মী সমর্থকও তৃণমূলে যোগ দেন।
গোবরডাঙা শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর দত্ত বলেন, বিজেপির মিথ্যাচার ভাঁওতাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হতে চান। উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর গেরুয়া শিবিরে ভাঙন আরও বেড়েছে।