কলকাতা: মুখ খুলল ‘চাপে পড়ে যাওয়া বঙ্গ বিজেপি’ । জয়প্রকাশ মজুমদার (Joyprakash Majumdar), রীতেশ তেওয়ারি (Ritesh Tiwari) বিদ্রোহে বেসামাল হয়ে পড়া বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal) মেনে নিল দলে বিচ্যুতি আছে৷ পাশাপাশি সবাইকে নিয়ে দল চলছে বলেও দাবি করা হয়েছে৷
মঙ্গলবার জয়প্রকাশ-রীতেশ সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, বর্তমান বঙ্গ বিজেপি নেতৃ্ত্বের বিরুদ্ধে৷ বর্তমান নেতৃত্ব তাদের বিরুদ্ধ কথা উঠলেই মুখবন্ধ করার চেষ্টা করছে৷ তারপরেই এদিন রাজ্য বিজেরি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, দলে ঐক্যের কোনও অভাব নেই৷ আগামী দিনেও ফাটল ধরানো সম্ভব নয়৷ তবে, জয়প্রকাশ-রীতেশের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়েও দিতে পারেননি তিনি৷ দলে যে বিচ্যুতি রয়েছে, সে কথাও মেনে নিতে বাধ্য হন শমীক৷
মুখপাত্রের কথায়, ‘‘বিচ্যুতি আছে৷ বিজেপির মতো বড় পরিবারে ছোটখাটো সমস্যা থাকতেও পারে৷ তবে, শৃঙ্খলা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতেই পারে না৷ ঐক্যবদ্ধভাবেই বিজেপির প্রতিটি সদস্য লড়াই করেছেন, করছেন, করবেন৷ দু-একজনের কথার উপর ভিত্তি করে দলেক ভাবমূর্তি বিচার করা যায় না৷’’
বিধানসভা ভোটের ফল কী হতে পারে তা অনুমান করেই বিজেপির বড় বড় নেতারা বাংলা ছাড়তে শুরু করেন বলে দাবি করেছেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সাংবাদিক বৈঠকে উত্তর দেওয়ার সময় আমি ছাড়া কেউ ছিলেন না। মুকুল রায়ের দলত্যাগের দিনেও কারুর দেখা মেলেনি। সাংবাদিকদের সামনে আমাকেই এগিয়ে দেওয়া হয়। অথচ বিজেপির বৈঠকে আমাকে পরিকল্পিত ভাবে কিছু বলতে দেওয়া হয় না।’
আরও পড়ুন-কথা বলতে গেলেই চুপ করিয়ে দেওয়া হয়, আইটি সেলকে বলে মাইক মিউট করে দেন নেতারা, বিস্ফোরক জয়প্রকাশ
সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার এবং অমিতাভ চক্রবর্তীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘কাচের ঘরে বসে রাজনীতি করছেন শীর্ষ নেতারা৷ হারের পর দলে কোনও রকম পর্যালোচনা হয়নি৷ এখানে মুখ খোলা যায় না৷ নিজেদের অভিজ্ঞতা-দুর্বলতা ঢাকতে কেউ কিছু বললেই তাঁদের চুপ করে দেওয়া হচ্ছে৷ নতুন সভাপতি এসে বেশ কিছু কমিটি গড়েছেন৷ কিন্তু তাতে সবই নিজের লোক বসানো৷’