কলকাতা: তৃণমূলে যোগ দেওয়া ইস্তকই দিলীপ ঘোষকে নিশানা করে চলেছেন বাবুল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে দিলীপকে সরিয়ে দেওয়ার পরও সেই সিলসিলা জারি রাখলেন তিনি। ফের দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাবুল। তবে, একবারের জন্য নাম নেননি। বুধবার বিজেপি-র নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানান বাবুল সুপ্রিয়। সেই শুভেচ্ছার মাধ্যমে পরোক্ষে বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই খোঁচা দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিন বাবুল টুইটে লেখেন, ‘অবশেষে একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি হল| সুকান্তর জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল..এটাই কাম্য যে রাজনৈতিক বৈরিতা যেন শত্রুতা না হয়।’ এই পোস্টে দিলীপের নাম কোথাও বলা নেই। কিন্তু লেখাটি যে দিলীপকে নিয়েই লেখা, তা স্পষ্ট। এই লেখায় সুকান্তকে ‘উচ্চশিক্ষিত’ বিজেপি সভাপতি বলে ঘুরিয়ে দিলীপকেই খোঁচা দিয়েছেন বাবুল।
যাক অবশেষে একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হলো | সুকান্তর জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা রইলো.. এটাই কাম্য যে রাজনৈতিক বৈরিতা যেন শত্রুতা না হয়https://t.co/fS4cD4wMfu
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 22, 2021
এর আগে টুইটে দিলীপ ঘোষের লেখার ভুল ধরে মোটা লাল কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করে দিয়েছিলেন। লিখে ছিলেন, ‘on a lighter note এটা বলতেই হচ্ছে যে আমার বর্ণপরিচয়টা কিন্তু ওনার লাগবে | “ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি…” মানে কি??? আবার ভুল বাংলা !!’
বিগত কয়েক বছরে @BJP4Bengal -এরজন অনেক খেটেছেন @DilipGhoshBJP | তাই ওনার আগামী জীবন সুখের হোক এই কামনাই করি | কিন্তু on a lighter note এটা বলতেই হচ্ছে যে আমার বর্ণপরিচয়টা কিন্তু ওনার লাগবে | "ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি…" মানে কি??? আবার ভুল বাংলা !! যাইহোক ভালো থাকুন দিলীপদা🙏 pic.twitter.com/rKKtAqGIfR
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 20, 2021
আরও পড়ুন- খড়দহের পর দমদম, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ কিশোরীর
প্রসঙ্গত, স্থির ছিল বুধবার লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে জমা দেবেন পদত্যাগপত্র। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। তৃণমূলে যোগদান করেই বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, বিজেপির টিকিটে জেতা লোকসভার সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বুধবার দিল্লি যাচ্ছেন। স্পিকারের কাছে সময় চেয়েছেন। স্পিকার ওম বিড়লা তাঁকে সময় দিলেই ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ে যান বাবুল।
শুরু থেকেই জল্পনা ছিল অধ্যক্ষের সঙ্গে আসানসোলের সাংসদের সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে। কারণ সংসদের অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সাংসদ বাবুলকে সময় দিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট ছিল না। আর সেটাই ঘটল। বুধবার লোকসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করা হচ্ছে না বাবুলের। এদিন বাবুলকে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়নি ওম বিড়লার অফিস থেকে। সেই কারণে আগামিকাল বৃহস্পতিবার সংসদের নিম্নকক্ষের অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন মোদি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী।