শ্যামনগর: ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রবিবারের পর সোমবারও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, আমি বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল। বিচারব্যবস্থার এক শতাংশ দিল্লির উচ্চপদস্থ নেতা-মন্ত্রীর অঙ্গুলহেলনে কাজ করেন। আমি রাজ্যপালকে নিয়ে কিছু বলিনি। তিনি উত্তর দিচ্ছেন কেন? তার মানে ঠিক জায়গায় ঢিল পড়েছে।
অভিষেকের কথায়, ‘রাজ্যপাল চাইলে এসএসসি, পিএসসি, নারদা, সারদা সবকিছু নিয়ে বলতে পারেন। তাতে আমার কোনও জ্বালা নেই। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপি নেতারা কুকথা বললে রাজ্যপাল কিছু বলেন না কেন? রাজ্যপাল বলেছেন, আমি সীমারেখা অতিক্রম করেছি। রাজ্যপালকে তো আমি কিছু বলিনি। তোমার গায়ে লাগছে কেন? ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি!’
শনিবার হলদিয়ার একটি জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘বিচার-ব্যবস্থায় এক জন দু’জন এমন আছেন, যাঁরা তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছেন। আপনার যদি মনে হয়, এই সত্যি কথা বলার জন্য ব্যবস্থা নেবেন, ক্যামেরার সামনে দু’হাজার বার এই কথা বলব।’ এর পাল্টা অভিষেককে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: Bankura BJP: বিজেপি বিধায়কের গণধোলাইয়ের হুমকি নিয়ে বিতর্ক ওন্দায়
ধনখড় বলেন, ‘প্রকাশ্য জনসভা থেকে এক জন সাংসদ এক জন বিচারপতিকে আক্রমণ করেছেন। যে বিচারপতি এসএসসি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে। সাংসদের এ হেন মন্তব্য নিন্দনীয়। আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। মুখ্য সচিবকে পদক্ষেপ করতে বলেছি।’ এখানেই থেমে থাকেনি দু’জনের তরজা। টুইটে রাজ্যপালকে একহাত নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক টুইটে লেখেন, ‘কে আসলে লাল দাগ টপকাচ্ছেন, লোকে দেখছে।’