কোচবিহার: করোনার মতো বিজেপিও একটা ভাইরাস। আর তার ভ্যাকসিনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনারা প্রথম ডোজ দিয়ে দিন ৩০ অক্টোবর। ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ডোজ দেবেন। দিনহাটার সভা থেকে গেরুয়া শিবিরকে এভাবেই তুলোধনা করলেন তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বলেন, বিজেপি নেতারা কোনও দিনই সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন না। শুধু মুখেই বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু, দরকারের সঙ্গে সময় বিজেপি নেতাদের দেখা যায় না। এর পরই তাঁর দাবি, যে কোনও মানুষের বিপদের দিন পাশে ছিল-আছে-থাকবে তৃণমূল। ভোটের পর থেকে আমাদের কর্মীরাই পথে নেমে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: পাপড়ি শুকিয়ে গিয়েছে, বিজেপির ভরসা তাই কাজলের ছবি, খড়দহে মোদি-দিলীপকে কটাক্ষ অভিষেকের
দিনহাটার সভা থেকে নিশীথ প্রামানিককেও একহাত নেন অভিষেক। তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চুরি করে ৬০ ভোটে জিতেছিলেন। মন্ত্রী হওয়ার লালসায় ইস্তফা দিয়েছেন দিনহাটা বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী। বাংলা থেকে মন্ত্রী হয়ে আদৌ কোনও লাভ হয়েছে কি?
মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতেও কেন্দ্রকে একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, জ্বালানি তেল, পোস্ত-সহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়লেও কেন্দ্র চুপ রয়েছে। কোচবিহারে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অমিত শাহ, একটিও পালন করেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা প্রতিশ্রুতি দেন, তাই করেন। লক্ষ্ণীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবুদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, গোসাবা থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেকের
বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা-অসম-গোয়া সহ প্রতিটি রাজ্যে সংগঠন ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও দিনহাটা থেকে স্পষ্ট করে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করবই। লিখে রাখুন, ঠিক তিন মাসের মধ্যে গোয়ায় তৃণমূল সরকার গড়বে। অন্যান্য রাজ্যেও ক্ষমতা দখল করব আমরা।