নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও, গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল ১৫০টি পরিবার। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। এদিন নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দেওয়ানহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলা এলাকার দু’টি বুথের ১৫০টি পরিবার বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে শাসকদলের শক্তি বাড়াল৷
দেওয়ানহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পরিমল বর্মনের নেতৃত্বে গেরুয়া শিবিরের ১৩৫টি পরিবার এবং সিপিএমের স্থানীয় নেতা দয়াল নন্দীর নেতৃত্বে বাম সমর্থক ১৫টি পরিবার তৃণমূলে নাম লেখানোয় উচ্ছ্বসিত ঘাসফুল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, নাটাবাড়িতে বিধানসভায় এবার পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার উত্তরবঙ্গের আরেক জেলা দার্জিলিংয়ে বামফ্রন্ট শিবিরে ধস নামে। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রীতিকণা বিশ্বাস। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের পরাজয়ের পর থেকেই, শিলিগুড়িতে সিপিএম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছে।
যদিও দলবলের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বাম নেতৃত্ব। এর আগে ১২ মে দুই বাম কাউন্সিলর তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন। বুধবার তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার ও প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন প্রীতিকণাদেবী। সূত্রের খবর, শিগগিরই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন আরও এক প্রাক্তন কাউন্সিলর।
সিপিএম ত্যাগের পর প্রীতিকণাদেবী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতেই দলে যোগ দিলাম’। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে রুখতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলবদলের এই সিদ্ধান্ত।’ গৌতম দেব বলেন, ‘প্রীতিকণাদেবী দীর্ঘদিন রাজনীতি করছেন। তিনি আমাদের দলে আসায় আমরা আরও শক্তিশালী হলাম।’ প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে ভবিষ্যতে আরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দেবেন।