নয়াদিল্লি: রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (DGP) বা পুলিশ প্রধান নিয়োগে রাজ্যের একচ্ছত্র ক্ষমতার বদলে বিকল্প প্রস্তাব জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে এমন নিয়োগের প্রস্তাব।
প্রকাশ সিং মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট যে প্রাসঙ্গিক সুপারিশ করেছিল, তা হামেশাই লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগে তিন সদস্যের কমিটি যেভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, একইভাবে ডিজিপি নিয়োগের সুপারিশ মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ মূল মামলাকারী প্রকাশ সিংয়ের। সেই সূত্রে গুচ্ছ আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি বি আর গভই (Chief Justice BR Gavai), বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি এন ভি আঞ্জারিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: জালিয়াতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জয়ী লক্ষ্য সেন, চিরাগ সেন
নতুন পদ্ধতিতে ডিজিপি নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত দেশের প্রতিটি রাজ্য সরকারকে নিরপেক্ষ সদস্যদের নিয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণের স্বার্থে পুলিশ কমপ্লেন্টস অথরিটিজ বা ‘প্যাক’ তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সুপারিশগুলি হয় রাজ্যগুলি কার্যকর করেনি অথবা সম্পর্কিত বিধি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, ডিজিপি নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব হয় প্রবলভাবে অথবা বিশেষ স্বার্থের প্রতিফলন ঘটে। এমনকী নির্বাচন কমিশন যেসব ডিজিপিকে সরিয়ে দেয়, ভোট মিটে গেলেই ফের তাদের নিয়োগ করা হয়।
মূল মামলাকারী প্রশান্ত সিংয়ের তরফে জানানো হয়, আগে ইউপিএসসি তিনটি নামের প্যানেল তৈরি করত। সেখান থেকেই রাজ্যের কোনও একজনকে ডিজিপি বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন রাজ্য সরকারগুলি এই প্রসঙ্গে কোনও তথ্যই দেয় না। বরং অ্যাড হক ভিত্তিতে ডিজিপি নিয়োগ করে। আর সেই কারণেই সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগ পদ্ধতির মতো একই পদ্ধতি এক্ষেত্রে অনুসরণ করার দাবি পেশ হয়েছে। ১৮ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
দেখুন অন্য খবর: