নয়াদিল্লি: চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জুবেরের আইনজীবী সৌতিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লি পুলিসের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর পাচার করার অভিযোগ তুললেন সৌতিক। তাঁর অভিযোগ, আদালত রায় দেবে বিকেলে। তার আগেই পুলিস জুবেরের ১৪ দিন জেল হেফাজত হয়েছে বলে ভুয়ো খবর রটিয়ে দেয়। আদালত সূত্রের খবর, বিচারক এজলাসে বসবেন বিকেল ৪টের সময়। তারপর এই মামলার রায় হবে।
শনিবারই জুবেরের চার দিনের পুলিস হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। জুবেরের বিরুদ্ধে এদিন প্রমাণ লোপাট ও বিদেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দিল্লি পুলিস ধৃত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নতুন তিনটি মামলা দায়ের করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ (প্রমাণ লোপাট), ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) এবং বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকারীরা জুবেরের মোবাইল ফোন এবং একটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিসের অভিযোগ, জুবের মোবাইল ফোনটি ফরম্যাট করেছেন এবং কিছু টুইট মুছে দিয়েছেন। ২০১৮ সালের একটি ‘আপত্তিকর’ টুইটের জন্য সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। অভিযোগ, ওই টুইটের ফলে একটি বিশেষ ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে। যদিও জুবেরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, একটি পুরনো মামলায় অন্যায় ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি আদালতের নির্দেশ ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: Maharashtra Murder: মহারাষ্ট্রে ব্যবসায়ী খুনেও এনআইএ তদন্তের নির্দেশ অমিত শাহের
অপরদিকে দিল্লি পুলিসও আদালতকে জানায়, ‘খ্যাতি পাওয়ার জন্য এই ধরনের টুইট ব্যবহার করে জুবের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তাঁকে একদিন পুলিস হেফাজতে রাখার পর মঙ্গলবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা সাভারিয়ার সামনে হাজির করা হয়। এরপর পুলিস পাঁচ দিনের হেফাজত আবেদন করা হলেও আদালত চার দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে।
পুলিসের দাবি, জুবেরের বিভিন্ন বক্তব্য এবং পোস্টে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে। ওই সব পোস্টের জন্য দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জুবেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার প্রচার) এবং ২৯৫-এ (ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে বিদ্বেষপূর্ণ কাজ) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: Manipur Landslide: নতুন বাড়িতে থাকার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মণিপুরে ধসে মৃত্যু জওয়ান সন্তুর
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, জুবেরের ওয়েবসাইটে বিজেপির ভণ্ডামি এবং নানা অপকীর্তির মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। এর জন্যই কেন্দ্রের শাসকদলের এত রাগ জুবেরের উপর। সেই কারণেই তাঁকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এবং বিভিন্ন সংগঠন তিস্তার গ্রেফতারিরও তীব্র সমালোচনা করেন।