মথুরা: বছর ঘুরলেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপর ভর করে আদৌ ভোট বৈতরণী পার হওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী থেকে অমিত শাহ- সকলেই যোগীর গুনগান গাইতে নিয়ম করে উত্তরপ্রদেশে আসছেন। জুলাইতে বারাণসী দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাসে এসে যোগীকে প্রশংসাই ভরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জন্মাষ্টমীর দিন যোগীর মুখে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা শোনা গেল। প্রধানমন্ত্রীর গুনগান করতে গিয়ে কৌশলে হিন্দুত্বে শান দিয়ে নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যোগী বলেন, ‘দেশকে নয়া দিশা দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণও তাঁর জন্যই সম্ভব হয়েছে। তিনি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মোদি, যিনি রামলালাকে দর্শন করেছেন। রাষ্ট্রপতিও অযোধ্যা ঘুরে গেলেন।স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও রাষ্ট্রপতি রামলালাকে দর্শন করলেন।’
তাঁর আমলে উত্তরপ্রদেশ অনেকটাই ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন যোগী। তাঁর কথায়, আগের সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক তকমা সেঁটে দেওয়া হতে পারে, এই ভয়ে অনেকে মন্দির যেতে সাহস পেতেন না। কিন্তু এখন মোদির নতুন ভারতে তাঁরাই মন্দির যাচ্ছেন। যারা আগে মন্দিরে যেতে ভয় পেতেন সাম্প্রদায়িক আখ্যা জুটবে বলে, এখন তাঁরা বলছে রাম আমার, কৃষ্ণও আমার।’ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান মন্দিরেও যান যোগী।
রবিবার রামলালার জন্মস্থানে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রাম ছাড়া অযোধ্যা অযোধ্যা নয়৷ যেখানে রাম সেখানে অযোধ্যা৷ ভগবান রাম স্থায়ীভাবে এই শহরেই থাকেন৷ তাই এটাই অযোধ্যা৷’ রামনাথ কোবিন্দের মন্তব্য ঘিরে দানা বাঁধে বিতর্ক৷ রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে অখুশি বিরোধীরা৷ তাঁদের মতে, ধর্মনিরপেক্ষ দেশের এক রাষ্ট্রপতির মুখে একটি বিশেষ ধর্মের ভগবানের বন্দনা শোভা পায় না৷
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতির এই সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সমাজবাদী পার্টি৷ দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এবং তিনি দলিত সন্তান৷ আর বিজেপি উত্তরপ্রদেশের দলিত ভোটকে টার্গেট করেছে৷ গেরুয়া শিবির রাষ্ট্রপতির সফর থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ বিতর্কিত মন্তব্য করে সপা নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী পবন পাণ্ডে বলেন, ‘মনে হচ্ছে না রাষ্ট্রপতি রাজ্য সফরে এসেছেন৷ মনে হচ্ছে কোনও বিজেপি নেতা সফরে এসেছেন৷