মধ্যপ্রদেশ : ভ্যাপসা গরমে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ। বেলা গড়ালেও টিকা নেওয়ার জন্য মিলছে না ডাক। এই পরিস্থিতিতে মেজাজ হারানো অত্যন্ত স্বাভাবিক। এর জন্য নিজেদের মধ্যেই মারপিট! ধৈর্য হারিয়ে টিকা নিতে আসা দুই মহিলার মধ্যে বচসা যে ক্রমশ চুলোচুলির পর্যায় পৌঁছে যাবে ভাবতেও পারেননি স্বাস্থ্যকর্মীরা। অভিযোগ, টিকাকেন্দ্রের বাইরে লাইন ভেঙে কয়েকজন মহিলা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় বচসা। মহিলা বাধা দিতে গেলে বচসা চুলোচুলির পর্যায় পৌঁছায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মারপিটের ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে চক্ষু চরকগাছ নেটিজেনদের। মধ্য প্রদেশের-র খারগাঁওতে ১৮ উর্ধ্বদের জন্য করোনা টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। টিকাকরণ শুরু করতে বেশ দেরী হওয়ায় অধৈর্য হয়ে পড়ে মানুষ। ধীরগতিতে টিকাকরণ চলার জন্য প্রাপকরা একাধিকবার তাগাদাও দেন।
আরও পড়ুন : নজির গড়ে অলিম্পিক রুপো দেশকে উৎসর্গ চানুর
মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা করে লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ওই কেন্দ্রে। আচমকাই কয়েকজন মহিলা লাইন ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ব্যাস, আগুনে ঘৃতাহূতি যেন তাতেই হয়। সঙ্গে সঙ্গে বাকি মহিলারা ক্ষেপে যান। চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে লাইন থেকে বের করে দেন কয়েকজন মহিলাকে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বয়স্ক মহিলারাও। ভিডিয়োয় দেখা যায়, টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত ব্যক্তিরা ওই মহিলাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতেও থামছেন না ওই মহিলারা।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নাম রেজিস্ট্রার করে নির্দিষ্ট সময়ে টিকাকেন্দ্রে পৌঁছলেই টিকা পাওয়ার কথা। কিন্তু একই সময়ে প্রচুর মানুষের ভিড় হওয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে ভিড় বাড়তে শুরু করে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, দেশে করোনা টিকার কোনও অভাব নেই। আবেদন করলেই দ্রুত মিলছে টিকার প্রথম ডোজ। অথচ বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। অধিকাংশ রাজ্যের দাবি, পর্যাপ্ত টিকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ কেন্দ্রগুলি। মধ্যপ্রদেশের টিকাকেন্দ্রের বাইরের চিত্র সেই বক্তব্য ভুল প্রমাণ করল।