ভোপাল : চলন্ত ট্রেন থেকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হল এক তরুণীকে। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল এক সহযাত্রী। তাতে বাধা দিতেই ওই তরুণীর উপর নৃশংস অত্যাচার চলে। মাথা-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত লেগেছে তাঁর। তরুণী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর জেলার। জব্বলপুর জিআরপির পুলিস সুপারের দাবি, দোষী ব্যক্তি শীঘ্রই ধরা পড়বে।
ওই তরুণী আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তিনি ছাতারপুরে এসেছিলেন ভগেশ্বরধাম মন্দির দর্শনে। জেলা সদর থেকে খাজুরাহো-পান্না রোডের উপর ওই মন্দিরটি। তরুণী পুলিসকে জানান, তিনি প্রতি মঙ্গলবার মন্দির দর্শন করতে আসেন। ২১টি মঙ্গলবার মন্দির দর্শন করবেন বলে মানত করেছিলেন। গত মঙ্গলবারই ছিল ২১তম দর্শনের দিন। ফেরার পথে খাজুরাহো-মাহেবা এক্সপ্রেসের সাধারণ অসংরক্ষিত কামরায় উঠেছিলেন তিনি। কামরাটি একেবারেই ফাঁকা ছিল।
তরুণী জানান, ট্রেন ছাড়ার পরই ওই ব্যক্তি লাফ দিয়ে ওই কামরায় ওঠে। ট্রেনে উঠেই সে তাঁকে উত্যক্ত করতে থাকে। নানা অশালীন মন্তব্য করা হয় তাঁর দিকে তাকিয়ে। কামরায় পুলিস থাকা সত্ত্বেও এরকম চলতে থাকে। তিনি জিআরপিকে জানান। কিন্তু জিআরপি কিছুই করেনি। যাত্রীটি এরপর তাঁর গায়ে হাত দিলে তিনি এক চড় কষান। তারপর দৌড়ে তরুণী অন্য কামরায় চলে যান। যাত্রীটিও তাঁর পিছু নেয়। আবার তাঁর গায়ে হাত দেয় সে। তরুণী তার আঙুল মটকে দেন। এতে ক্রুদ্ধ হয়ে ব্যক্তিটি তাঁর তলপেটে লাথি মারতে থাকে। মুখে ঘুসি মারা হয়। তিনি কোনও রকমে গেটের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে পড়েন। ওই অবস্থায় যাত্রীটি তাঁর হাতে আঘাত করায় তিনি ছিটকে পড়ে যান।
পরে এক রেলকর্মী তাঁকে অচেতন অবস্থায় রেল লাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিস কন্ট্রোল রুমে খবর দেন। পুলিস এসে তাঁকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অপারেশন হয়। জিআরপির এসপি বিনায়ক ভার্মা জানান, তরুণীর দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী ওই যাত্রীর খোঁজ চলছে। ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার ঘটনার তদন্ত করছেন।