নয়াদিল্লি: বিরোধীদের হই-হট্টগোল, বিক্ষোভের জেরে শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) প্রথম সপ্তাহে রাজ্যসভায় নষ্ট হল ৫২ শতাংশ সময়। সপ্তাহের প্রথম ৩ দিন প্রায় অচল ছিল সংসদের উচ্চকক্ষ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্যসভায় স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। প্রথম সপ্তাহে (Winter Session) রাজ্যসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল এবং ড্যাম সেফটি বিল পাস হয়েছে।
বাদল অধিবেশনে সংসদে অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন সাসপেন্ড করা হয় ১২ জন সাংসদকে। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে এই সাংসদরা রাজ্যসভায় ঢুকতে পারবে না বলে জানানো হয়। এর পর থেকেই রাজ্যসভা অচল হতে শুরু করে। একাধিক বার অধিবেশন মুলতুবিও হয়ে যায়।
বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলে ব্যাখ্যা করেন। যদিও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু সাফ জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। এর পর সাসপেন্ডেড সাংসদরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা শুরু করেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন, সাংসদরা ক্ষমা চাইলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: Rajya Sabha MPs Suspended: অধিবেশনে বিশৃঙ্খলার দায়, রাজ্যসভায় সাসপেন্ড ১২ সাংসদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩৩ মিনিট বেশি অধিবেশন চলেছে। এর ফলে গত সপ্তাহের প্রোডাক্টিভিটি ৪৯.৭০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার প্রোডাক্টিভিটি সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই দুইদিনের প্রোডাক্টিভিটি যথাক্রমে ৯৫ শতাংশ এবং ১০০ শতাংশ।
শুক্রবার নির্ধারিত সময় আড়াই ঘণ্টার পুরোটাই প্রাইভেট মেম্বার বিলের জন্য ব্যয় হয়েছে। শেষ বার এমনটা হয়েছিল ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনে। তবে বিরোধীদের হই-হট্টগোল, বিক্ষোভের মধ্যে গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় দুটি বিল পাস হয়েছে। সে গুলি হল- কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল এবং ড্যাম সেফটি বিল।