দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার(covid new variant in south africa) নতুন ভ্যারিয়েন্টের (New strainCoronavirus disease) হদিশ মিলেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্রমাগত এই ভাইরাসটির জিন বিন্যাসের ফলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তাহলে কি ভারত তথা বিশ্ব আরও খারাপ পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন হতে চলেছে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা, বৎসোয়ানা এবং হংকংয়ে পাওয়া করোনার নতুন প্রজাতি বি.১.১৫২৯ এর হদিশ (B.1.1529)। স্ট্রেনটির আবির্ভাব হয়েছে প্রায় ৫০ বার জিনের বিন্যাস বদলে। এর মধ্যে ৩২ বার বদলেছে স্পাইক প্রোটিনের চরিত্র।
এই বিষয়ে অতিমারি বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায়(YOGIRAJ ROY) জানিয়েছেন, ‘এই ভাইরাসের মধ্যে স্পাইক প্রোটিনের চরিত্র বদলানোর ক্ষমতা রয়েছে। তাই এই স্ট্রেনের(COVID STRAIN) সংক্রমণ ক্ষমতা দ্রুত এবং অতিরিক্ত ।
আরও পড়ুন কোভিড রুখতে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা নেই, বলছেন কলকাতার চিকিৎসকেরা
অতিমারি বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায়
যা ভবিষ্যতে আরও অনেকবার জিনের বিন্যাস ঘটাতে পারবে। ফলে ভবিষ্যতে জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। বিশেষত যারা বাইরে থেকে আসবেন, তাঁদের ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট(VACCINE CERTIFICATE) থাকলেও সকলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, পুনরায় আরটিপিসিআর (RTPCR) টেস্ট করাতে হবে।’
অন্যদিকে, বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অমিতাভ নন্দী’র মতে, এখনও ভারতে তেমন প্রভাব পড়েনি এই ভাইরাসের।
ভাইরোলজিস্ট অমিতাভ নন্দী
কোনও রোগীর সন্ধান মেলেনি। তবে সংক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সকলকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন Corona: ফ্রেসার পার্টির পরেই করোনা আক্রান্ত ৬৬ মেডিকেল পড়ুয়া
করোনার নতুন স্ট্রেন, বি.১.১৫২৯ এর হদিশ মিলতেই বিশ্বের নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই পর্যবেক্ষণকে সামনে রেখেই নতুন স্ট্রেনের উৎপত্তির কথা জানিয়েছে লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউট । এই ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ফ্রাঁসোয়া বালু জানিয়েছেন, গুরুতর অসুস্থ ও যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়া কোনও এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের দেহে করোনা ভাইরাসের একাধিক মিউটেশনের ফলেই এই নতুন রূপ তৈরি হয়েছে।ইতিমধ্যেই আফ্রিকায় নতুন করে ১০০ জনের দেহে এই স্ট্রেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাই পর্যটক-ভিন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এছাড়া যে সব পর্যটক ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছিলেন তাঁদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।