ওয়েব ডেস্ক: মাঝরাতে ভারতের এয়ারস্ট্রাইক (Air Strike)। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। যে প্রত্যাঘাতের জন্য অপেক্ষায় ছিল দেশবাসী। আর্ম, নেভি ও এয়ার জয়েন্ট অপারেশন হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK)। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি।
এই তালিকায় রয়েছে ২টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। একটি লাহোর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে থাকা মুরিদকে। যেটি লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি। অন্যটি, বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা।
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কতটা ক্ষয়ক্ষতি? খোলসা করল পাকিস্তান
সূত্রের খবর, ১৯৯০ সাল থেকে এই মুরিদকেতেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার। হাফিজ সইদ-ই ছিল এর হর্তাকর্তা। হাফিজ ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। অপরদিকে, জইশ-ই-মহম্মদের একটি মাদ্রাসা রয়েছে। এই মাদ্রাসার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে জইশ চিফ মাসুদ আজহারের।
কেন নিশানা করা হল লস্কর-ই-তৈবার মুরিদকে- র হেডকোয়ার্টার
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে। লাহোর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক এলাকা। এই অঞ্চলেই লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার। যা পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘড়’ নামেই পরিচিত। ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলার দায় শিকার করেছিল লস্করেরই একটি শাখা। এই হামলার পিছনে আদতে হাত রয়েছে লস্কর চিফ হাফিজ সইদেরই, অনুমান ভারতের।
প্রসঙ্গত, মুরিদকে- তেই লস্কর-ই-তৈবা এবং এর শাখা সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ছড়িয়ে ছিল প্রায় ২০০ একর জায়গা জুড়ে। এখানেই ছিল অসংখ্য বাড়ি, জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং জঙ্গি কার্যকলাপের আরও অনেক পরিকাঠামো।