মুম্বই: গুয়াহাটির পাঁচতারা হোটেল শিবসেনা বিধায়কদের থাকা-খাওয়া খরচের উৎস জানতে চাইল এনসিপি৷ কে বা কারা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বিল মেটাচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলল শরদ পাওয়ারের দল৷ একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনার ৩৮ জন বিধায়কের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার নেপথ্যে বিজেপির ‘অপারেশন কমল’ অভিযানের ছায়া দেখতে পাচ্ছে বিরোধীরা৷ তাদের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার প্রলোভন দেখিয়ে শিবসেনা থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার ফেলে দেওয়ার পুরনো খেলায় মেতেছে বিজেপি৷ সেই জায়গা থেকে এনসিপির প্রশ্ন, এটা কি সত্যিই যে ঘোড়া কেনাবেচার দর উঠেছে ৫০ কোটি টাকা?
এদিন এনসিপি মুখপাত্র মহেশ তাপসে ইডি ও আয়কর দফতরকে দিয়ে শিবসেনার বিধায়কদের পরিবহন ও হোটেল খরচ নিয়ে তদন্তের দাবি তোলেন৷ তবেই কালো টাকার উৎস জানা যাবে বলে মন্তব্য করে এনসিপি মুখপাত্র৷ মহেশ তাপসের প্রশ্ন, সুরাট ও গুয়াহাটির হোটেলের বিল কে দিচ্ছে? চার্টার্ড বিমানের খরচই বা কে জুগিয়েছে? এটা কি সত্যি বিধায়ক কেনাবেচার দর ৫০ কোটি টাকা? যদি ইডি এবং আইটি তদন্তে নামে তাহলে কালো টাকার উৎস জানা যাবে৷
চলতি সপ্তাহে সোমবার একগুচ্ছ দলীয় বিধায়কদের নিয়ে উধাও হয়ে যান শিবসেনার প্রভাবশালী নেতা একনাথ শিন্ডে৷ প্রথমে তিনি যান সুরাট৷ তারপর বুধবার সকালে চার্টার্ড বিমানে বিধায়কদের নিয়ে পৌঁছন গুয়াহাটি৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে সুরাট এবং গুয়াহাটি দুটি জায়গাতেই ক্ষমতায় বিজেপি৷ ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের গোপনে মদতের অভিযোগ উঠেছে৷ গুয়াহাটিতে পৌঁছনোর পরই বিধায়করা চলে যান একটি পাঁচতারা হোটেলে৷ তারপর থেকে ‘বিজেপির হেফাজতে’ হোটেলে বন্দি তাঁরা৷ জানা যায়, সাতদিনের জন্য বিধায়কদের নামে হোটেলের ৭০টি ঘর বুক করা হয়৷ হোটেল ভাড়াই দিতে হয়েছে ৫৬ লক্ষ টাকা৷ এছাড়া খাওয়া-দাওয়া এবং অন্যান্য পরিষেবার জন্য দৈনন্দিন ৮ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷ সব মিলিয়ে বিধায়কদের আপ্যায়নের পিছনে কোটি টাকা খরচ হচ্ছে৷ শুরু থেকে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা৷ সূত্রের খবর, হোটেলে শিন্ডে বাহিনীর বিলাসব্যসন নিয়ে এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে৷ সেই ক্ষোভের আঁচ পেয়েই রবিবার থেকে বিদ্রোহী বিধায়করা সিঙ্গল রুম ছেড়ে ডাবল রুমে চলে যাবেন বলে ঠিক হয়েছে৷
আরও পড়ুন: Maharashtra Crisis: ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে উদ্ধব শিবির, কোণঠাসা শিন্ডে সমর্থকদের পথে নামতে বলছেন