কলকাতা: বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের (India) গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তি (Ganga Water Sharing Agreement) পুনর্নবীকরণ (Renewal) হবে? কথা বলতে ১১ সদস্যের বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল আজ সোমবার আসছেন ভারতে। প্রথমেই এই প্রতিনিধিরা যাবেন ফরাক্কায় ব্যারেজ (Barrage at Farakka) এলাকায়।
গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তি বিষয়ে আলোচনার জন্যই এই প্রতিনিধিদল আসছেন। গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালে। এই অবস্থায় নতুন করে চুক্তি না হলে দেখা দিতে পারে বড় সমস্যা। ফরাক্কা ব্যারেজ সহ বিস্তীর্ণ জল-বণ্টন ব্যবস্থায় তা ছাপ ফেলতে পারে।
বাংলাদেশে আসা প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেবেন যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)-এর সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেন। ফরাক্কায় গঙ্গা নদীর যৌথ পর্যবেক্ষণ স্থানে দুই দিনের সফর করবেন তারা। এই সফর চলবে আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত। এর পর কলকাতায় ফিরে ৬ ও ৭ মার্চ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের দুই দিনের বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা আছে। এই তথ্য জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জয়েন্ট কমিশনার (এফএম) আর আর সম্ভরিয়ার একটি চিঠি থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে সব রাজ্যের সিইও’দের নিয়ে বৈঠক
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবে গৌড়া এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি গঙ্গা নদীর জল বন্টন বিষয়ে একটি কাঠামো তৈরি করে। যা ফারাক্কা বাঁধ থেকে শুষ্ক আবহাওয়ায় (জানুয়ারি থেকে মে) জলের প্রবাহ নিশ্চিত করে। চুক্তিটি ৩০ বছরের জন্য কার্যকর ছিল ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর এর মেয়াদ শেষ হবে। ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় শেখ হাসিনা ভারত সফরে আসেন, সেই সময় ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশ ১৯৯৬ সালের চুক্তি পুনর্নবীকরণের জন্য কারিগরি আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেয়। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্নবীকরণ নিয়ে আলোচনা দুই দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি তাদের জলের চাহিদা ও ভারতের জন্য, এটি একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ। যাতে বাংলাদেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিজেদের প্রয়োজনও পূরণ হয়।ফারাক্কায় যৌথ পর্যবেক্ষণ স্থল পরিদর্শন এই আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই স্থানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা গঙ্গার প্রবাহ পরিমাপ করে তথ্য সংগ্রহ করবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
দেখুন অন্য খবর: