মুম্বই: তাবড় সংবাদমাধ্যমকে বোকা বানিয়ে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন একনাথ শিণ্ডে৷ তাঁর সমর্থনে মারাঠাভূমে ফের গঠিত হল বিজেপি-শিবসেনার সরকার৷ যদিও অগণতান্ত্রিক এবং অনৈতিক উপায়ে বিজেপি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখল করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের৷ দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, ‘মোদি-শাহের নেতৃত্বে বিজেপি যে কোনও মূল্যে ক্ষমতা দখল করতে চায়৷ মহারাষ্ট্রে যা হয়েছে তা ভারতের গণতন্ত্রের লজ্জা৷’
জনমতকে অগ্রাহ্য করে একক বৃহত্তম দলকে ডিঙিয়ে অথবা নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে বহুদিনের৷ এর আগেও মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুরে ‘অপারেশন কমল’ অভিযানের নামে অন্য দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেছে বিজেপি৷ জয়রামের অভিযোগ, ‘টাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে ধর্মীয় মেরুকরণ, হিংসা- নির্বাচনে জিততে বিজেপি অনেকদূর পর্যন্ত যেতে পারে৷ এত কিছুর পরেও যখন বিজেপিকে মানুষ প্রত্যাখান করে, তখন ওরা নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে৷’
উদাহরণ হিসেবে জয়রাম রমেশ টেনে আনেন উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল এবং মণিপুরের প্রসঙ্গ৷ কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘২০১৭ সালে মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ২৮টি আসনে জয়ী হয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল৷ তা সত্ত্বেও সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল কংগ্রেসকে ডাকেননি৷ ঠিক একই জিনিস হয়েছিল বিহারে৷ অনৈতিকভাবে বিজেপি বিহারের মহাগঠবন্ধন সরকারকে ফেলে দেয়৷ অতিমারির সময়ে দল ভাঙার খেলা বন্ধ রাখেনি বিজেপি৷ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে মধ্যপ্রদেশে সরকার ফেলে দেওয়া হয়৷ রাজ্যসভা নির্বাচনে জিততে গুজরাতের আট কং বিধায়ককে বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়৷ প্রত্যেকবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কোনও রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেয়৷’
রাজস্থানেও সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি৷ কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়ককে ভুল বুঝিয়েছিল৷ কিন্তু তাদের সব চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় বলে জানান জয়রাম রমেশ৷ মহারাষ্ট্রে এর আগেও টাকা ছড়িয়ে অনৈতিকভাবে সরকার গঠনের চেষ্টা করেছিল বিজেপি৷ এভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে বিজেপির অস্থিরতা সৃষ্টির কড়া নিন্দা করে কংগ্রেস৷ এটা শুধু গণতন্ত্রের নয়, দেশের মানুষের অপমান৷