নয়া দিল্লি: বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা রক্ষায় রক্ষাকবচ থাকা প্রয়োজন। বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্ট প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের (BR Gavai)। বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা যদি রক্ষা করতে চাওয়া হয়… তাহলে একদিকে আমরা বিচারপতি নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের যেমন বিরোধিতা করছি, অন্যদিকে বিচারপতি অপসারণে যদি সহজ পথ আমরা রেখে দিই, তাহলে… রক্ষাকবচ থাকলে বিচারপতি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। সেটা যদি সরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে আইনের শাসনের ভিতটাই নড়ে যাবে। বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ছায়াবৃত হবে। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিচারপতিদের অপসারণে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ায় কেন কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সামনে ভাষণ প্রধান বিচারপতির। বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বসতবাড়ি সংলগ্ন স্টোর রুম থেকে অর্ধদদ্ধ নগদ অর্থ উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বতন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি তদন্ত সম্পর্কে নতুন কিছু ভাবছেন কি? প্রশ্ন এক শিক্ষার্থীর।
আরও পড়ুন: সোনায় স্বস্তি দেশে, এক ধাক্কায় দাম কমল কত?
বিচারপতি অপসারণে কঠিন ব্যবস্থা এবং সীমাবদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন এক শিক্ষার্থীর। বিচারপতি ভার্মা সম্পর্কিত মামলা নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না। যদিও এমন অপসারণের ক্ষেত্রে চলা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আছে বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত তিন বিচারপতির কমিটি রিপোর্টে বিচারপতি ভার্মার দিকে অভিযোগের তীর জোরদার হওয়া সত্বেও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন। পূর্বতন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ওই কমিটির রিপোর্ট ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার তার ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকার তার ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য পদক্ষেপ করেছে বলে সংবাদ।
দেখুন আরও খবর: