নয়াদিল্লি: স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মাথায় প্রকাশ্যে এসেছে ঐতিহাসিক সুড়ঙ্গ। যা স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করতে ব্যবহার করতো ইংরেজরা। নতুন দিল্লিতে অবস্থিত বিধানসভা ভবন থেকে যা বিস্তৃত পুরনো দিল্লি লালকেল্লা পর্যন্ত। আগামী দিনে ওই সুড়ঙ্গ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ।
শুক্রবার দিল্লি বিধানসভায় সুড়ঙ্গের মতো দেখতে একটি রহস্যময় পথ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েল জানিয়েছেন, গোপন ওই ভূগর্ভস্থ রাস্তাটি দিল্লি বিধানসভাকে লালকেল্লার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করছে। স্পিকার আরও বলেছেন, ‘১৯৯৩ সালে বিধায়ক হয়েছিলাম। তখন বিধানসভায় কোনও গোপন সুড়ঙ্গ আছে বলে শুনেছিলাম। অনেক চেষ্টা করি সুড়ঙ্গের খোঁজ করার। তার ইতিহাস জানার। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’
আরও পড়ুন- প্রতিবাদী সহযাত্রীকে মারধর, সোনার চেন ছিনিয়ে নিলেন অন্তর্বাস পরা মত্ত বিধায়ক
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পিকার রাম নিবাস গোয়েল জানিয়েছেন যে ওই সুড়ঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, “সুড়ঙ্গের মুখ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তবে এই সুড়ঙ্গ আর খনন করা হবে না। শীঘ্রই আমরা এটি পুনর্নির্মাণ করে তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।” আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে ওই সুড়ঙ্গ পুনর্নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েল।
রহস্যময় এই সুড়ঙ্গের তির-চারটি স্টিল-ছবি সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রকাশ করেছে। বিধানসভা কক্ষের ভিতর যে সুড়ঙ্গপথ তাতে মেরে কেটে এক জন মানুষ নীচে নামতে পারেন। পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে কংক্রিটের সুড়ঙ্গ পথ। তিন-চার ফুট মত চওড়া। মাথায় এক মানুষের মত উঁচু। পাশাপাশি ১\২ জন হেঁটে যাতে পারবেন। পরের ছবিতে সুড়ঙ্গ-পথ শেষ। ইটের গাঁথুনি দেখা যাচ্ছে। পথের শেষ প্রান্তেও ইটের পাঁচিল। বাঁ-দিকে একটা জানলা। মাটিতেও প্রচুর ভাঙা ইট-পাথর স্তূপ করে পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন- আগামী সপ্তাহ থেকে শেষ মেট্রো রাত সাড়ে ৯টায়, বাড়ছে রেকের সংখ্যা
কেন এ রকম একটা সুড়ঙ্গ পথ? দিল্লির বিধানসভা ভবন থেকে কেনই বা মাটির তলায় এ রকম একটা গোপন পথ তৈরি করতে হয়েছিল? আর সেই সুড়ঙ্গ কেনই বা লালকেল্লা পর্যন্ত? উত্তর পেতে ইতিহাসের পাতা তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন নেটিজেনরা। এই বিষয়ে স্পিকার রাম বিলাস গোয়েল বলেছেন, “গোপন এই টানেলটি ব্রিটিশরা ব্যাবহার করত মুক্তিযোদ্ধাদের সরিয়ে নিয়ে যেতে, যাতে পাল্টা প্রতিঘাত এড়ানো যায়।”