ওয়েবডেস্ক- প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। বন্ধ রাজ্যের প্রায় ২৪টি রাস্তা। ঘন ঘন ভূমিধসের (Landslide) জেরে উদ্বেগে প্রশাসন। চলতির মাসের ১ তারিখ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নিখোঁজ বহু। ভারী বৃষ্টির জেরে দেহরাদুনের বহু এলাকা প্লাবিত।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। আলমোড়া, হরিদ্বার, পিথোরাগড়, তেহরি, চামোলি, পাউরি, বাগেশ্বর এবং চম্পাওয়াত জেলার ২৪ টি রাস্তা এখনও বন্ধ। আহতের সংখ্যা ১২৮। আবহাওয়া দফতর ২৭ জুন পর্যন্ত রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় কমলা ও হলুদ সতর্কতা জারি করেছ।
বারকোটের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট ব্রজেশ কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছেন ৷ আগামীকাল থেকে চারধামযাত্রার মধ্যে অন্যতম যমুনোত্রীতে যাত্রা শুরু হবে ৷ এদিকে প্রবল বর্ষণের জেরে রাজ্যের দু-এক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় তীর্থযাত্রীদের সুবিধা সাচ্ছন্দ্যের যাতে কোনও ত্রুটি না হয়, তার জন্য বৈঠক সেরেছেন উত্তরাখণ্ডের মৃখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সরকারি কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের বেশিরভাগ অংশে পৌঁছেছে, যার জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে ছাড় পেলেন না অপারেশন সিঁদুরে লড়া কমান্ডো
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে অলকানন্দা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন সতর্ক থাকাকালীন অনেক এলাকা খালি করে দিয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রঝড় এবং তীব্র বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডি অনুসারে, দেরাদুন, হরিদ্বার, তেহরি, পৌরি, উত্তরকাশী, রুদ্রপ্রয়াগ এবং চামোলি জেলাগুলিতে সারা দিন ধরে বজ্রপাত এবং মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেরাদুন এবং হরিদ্বারে সকালে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে, তবে দিনের শেষে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
একই সময়ে, বদ্রীনাথ পর্বতে বৃষ্টিপাতের কারণে অলকানন্দা নদী উত্তাল। এখানে আবারও অলকানন্দা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ব্রহ্ম কপাল, নারদ কুণ্ড এলাকা সম্পূর্ণরূপে ডুবে গেছে। নিরাপত্তার জন্য পুরো ব্রহ্ম কপাল এলাকা খালি করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর-