নয়াদিল্লি: ‘ইন্ডিয়া’ জোটের (India Bloc) প্রথম পরীক্ষা। আজ পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৬ রাজ্যের ৭ কেন্দ্রে বিধানসভা উপ-নির্বাচন (By-election)। এদিন পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ি-সহ উত্তরপ্রদেশের ঘোসি, উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর, কেরলের পুথুপল্লি, ঝাড়খণ্ডের দুমরি এবং ত্রিপুরার ধানপুর ও বক্সানগরে ভোট রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ি, ঝাড়খণ্ডের দুমরি, কেরলের পুথুপল্লি, ত্রিপুরার ধানপুর ও উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর কেন্দ্রের বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। ঘোসি এবং ধনপুরের বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কাছে শক্তি প্রদর্শনের লড়াই হতে চলেছে। সাতটি আসনেই ভোট গণনা হবে ৮ সেপ্টেম্বর।
ঝাড়খণ্ডের দুমরি কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা জগরনাথ মাথো। বিধায়কের মৃত্যু হওয়ায় এবার ওই কেন্দ্রে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী বেবী দেবী। অন্যদিকে, গতবারের পরাজিত প্রার্থী যশোদাদেবী এবারের এনডিএ প্রার্থী। এদিকে, কেরলের পুথুপল্লির বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা দু-বারের মুখ্যমন্ত্রী উম্মেন চণ্ডী। এবার তাঁর ছেলে কুনজুননু এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। ফলে এই দুটি কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই কেন্দ্রে আবার জোটের বাইরে গিয়ে প্রার্থী দিয়েছে আম আদমি পার্টি।
আরও পড়ুন:সংবিধান থেকে ইন্ডিয়া শব্দটি বাদ দিতে বিল?
অন্যদিকে, ত্রিপুরার দুটি কেন্দ্রেই বিজেপি এগিয়ে রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। উত্তরাখণ্ডে বিধায়ক চন্দন দাসের মৃত্যুর পর তাঁর জায়গায় বিজেপি দাঁড় করিয়েছে বিধায়কের স্ত্রীকে। বিপরীতে এসপি প্রার্থী ভগবতী দাসকে সমর্থন জানিয়েছে সমগ্র ইন্ডিয়া জোট। ফলে এই কেন্দ্রের ভোট ইন্ডিয়া জোটের কাছে একটি পরীক্ষা। উত্তরপ্রদেশের ঘোসি কেন্দ্রে তো বিজেপি এগিয়ে রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকর কারবারিরা।