ওয়েব ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest)। এবার সাইবার অপরাধের (Cyber Crime) শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice Chancellor)। জানা গিয়েছে, উপাচার্য (Odisha) বারহামপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গীতাঞ্জলি দাস সম্প্রতি এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ‘আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে’- একথা শুনেই শুরু হয় ভয়াবহ এক প্রতারণার চক্র। যার ফলে তিনি খুইয়েছেন প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির ১৪ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত গীতাঞ্জলি দাসকে ‘ডিজিটালি গ্রেফতার’ করে রাখে প্রতারকরা। ইডি অফিসারের ছদ্মবেশে ফোন করে তারা অভিযোগ তোলে, তিনি নাকি আর্থিক তছরুপে জড়িত। এরপর তাঁর নামে জারি হয় ভুয়ো ডিজিটাল গ্রেফতারি পরোয়ানা।
আরও পড়ুন: ১৫ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের নিয়ম?
এই ‘ডিজিটাল বন্দিদশা’র সময় তাঁকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে একাধিক ব্যাঙ্ক লেনদেনে বাধ্য করে প্রতারকরা। এক পর্যায়ে উপাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ লক্ষ টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা। তাদের বিশ্বাস করেই প্রথম দফায় ফেরত পাওয়া ৮০ হাজার টাকার পর তিনি আশা করেছিলেন, বাকি টাকাও ফেরত পাবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও টাকা না পেয়ে অবশেষে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। গুজরাতের ভাবনগর থেকে দু’জন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে কলকাতার সাইবার অপরাধ দমন শাখা ইতিমধ্যেই এই চক্রের দুই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জানিয়েছে, এই ফাঁদে ফেলে দেশজুড়ে প্রায় ১৮০ কোটি টাকার প্রতারণা চালিয়েছে একাধিক গোষ্ঠী।
দেখুন আরও খবর: