কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : উত্তরাখণ্ডে প্রবল বর্ষণে জলের তলায় একাধিক এলাকা। কোথাও জমেছে জল। কোথাও বা নেমেছে ধর যার জেরে প্রাণহানি ঘটেছে বহু মানুষের । ভারী বৃষ্টির জেরে সোমবার বদ্রিনাথের জাতীয় মহাসড়ক এর কাছে একটি নালায় আটকে পড়ে একটি গাড়ি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়ে যাত্রীবাহী গাড়িটিকে উদ্ধার করে বিআরও বা বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন ।
আরও পড়ুন ৬৫ বছর পর দিল্লিতে ফের সর্বাধিক বৃষ্টি
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, উত্তরাখণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে হৃষীকেশ- বদ্রিনাথ মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। ভূমিধসের কারণে সিরোবাগাদের একধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এছাড়া খানখড়া-খেদাখাল-খিরসুর সংযোগ সড়কও ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। গত চার দিন ধরে, এই এলাকায় অবিরাম বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে এলাকায় ভূমিধস নেমেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরাখণ্ড সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত এর সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
#WATCH | Uttarakhand: Occupants of a car that was stuck at the swollen Lambagad nallah near Badrinath National Highway, due to incessant rainfall in the region, was rescued by BRO (Border Roads Organisation) yesterday. pic.twitter.com/ACek12nzwF
— ANI (@ANI) October 19, 2021
আরও পড়ুন লক্ষ্মীপুজো অবধি অবিরাম বৃষ্টি, নাজেহাল রাজ্যবাসী
উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি সোমবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, তামিলনাড়ু, পুদুচেরী, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গে। বৃষ্টি প্রকোপে ক্রমশ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। গতকালই সে রাজ্যে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডে ধস নামে, যার ফলে সেখানে ৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ৪ ধাম যাত্রা স্থগিত রাখা হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জানান, বৃষ্টির কারণে পৌরি জেলায় ধস নামে। সেই সময় রাস্তার ধরে একটি হোটেল নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানে কাজ করছিলেন ওই ৩ শ্রমিক। এই ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হয়। বাকিদের জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর রবিবারে হরিদ্বারে আসা তীর্থযাত্রীদের যতদিন না পর্যন্ত আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে, ততদিন চার ধাম যেতে নিষেধ করা হয়।