মিরট: বন্দুক নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে অতর্কিতে গুলি ছিটকে মৃত্যু হল ১৪ বছরের এক কিশোরের। মৃতের নাম উভেশ আহমেদ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, উত্তরপ্রদেশের মিরট শহরে, লিসারি গেট এলাকায়। কিশোরের হাতে গুলিভর্তি বন্দুক কোথা থেকে এল, বাড়ির লোকজনই বা কোথায় ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস খতিয়ে দেখছে আদৌ বাড়িতে থাকা বন্দুকটির লাইসেন্স রয়েছে কি না। সেই মতো আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের ধারণা, সেলফি তোলার ঝোঁকে অসাবধানে ট্রিগারে হাত পড়েই এই দুর্ঘটনা। ঘটনার সময় বাড়িতে ওই কিশোর ছাড়া পরিবারের আর কেউ ছিলেন না। ফলে ঘটনার পিছনে পরিবারেরও যে গাফিলতি রয়েছে, পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে তা স্পষ্ট। গুলিভরা বন্দুক কেন কিশোরের হাতের নাগালের বাইরে রাখা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিস।
আরও পড়ুন: ফাঁকা ক্লাসরুমে সিগারেটের ধোঁওয়া ওড়াচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা! চন্দ্রকোনা হাইস্কুলের ভিডিয়ো ভাইরাল
তদন্তকারীদের ধারণা, বন্দুকটির কোনও লাইসেন্স নেই। সেটি উভেশের দাদা সোহেলের বলেই মনে করা হচ্ছে। এই সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় অপরাধের মামলা রয়েছে। সম্প্রতি চুরির দায়ে জেল খেটে সে বাড়িতে ফেরে। রবিবার সোহেলের হেফাজতে ছোট ছেলেকে রেখে গিয়েছিলেন মা-বাবা। কিন্তু পুলিস জানতে পারে, ঘটনার সময় সোহেল বাড়িতে ছিল না। উভেশ একাই ঘরে ছিল।
পুলিস জানিয়েছে, গুলি ওই কিশোরের মাথা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও হয়নি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বন্দুকের লাইসেন্স না থাকলে অস্ত্র আইনে সোহেলের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করতে পারে পুলিস। কী কারণে পরিবারটি বাড়িতে বন্দুক রেখেছিল, জিজ্ঞাসাবাদ করে তা-ও দেখা হচ্ছে।