লখনউ: মসজিদে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক চলছেই৷ এরই মধ্যে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় স্থান থেকে অবৈধ লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ এর জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ সোমবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ কুমার অবস্তির জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ধর্মীয় স্থানগুলি থেকে অবৈধ লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলতে হবে৷ তারপর একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দিতে হবে৷
রাজ্য সরকারের নির্দেশ পৌঁছেছে পুলিস মহলে৷ কিন্তু পুলিসের আশঙ্কা, ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার খুলতে গেলে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে৷ হয়ত তারা বাধার মুখেও পড়তে পারে৷ তাই পদক্ষেপ করার আগে পুলিসকে বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশের কথা প্রথমে ধর্মীয় নেতাদের বুঝিয়ে বলতে৷ আবার অনেক মন্দির-মসজিদে বৈধ লাউডস্পিকার রয়েছে৷ সেগুলির ক্ষেত্রে আওয়াজ যাতে নির্ধারিত ডেসিবেলের মধ্যে থাকে তা মাথায় রাখে কর্তৃপক্ষ৷
আজানের সময় লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত৷ যে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে৷ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরানো না হলে হনুমান চালিশা বাজানো হবে৷ তারপরই রাজের সমর্থনে বহু গেরুয়া সংগঠন মসজিদে লাউডস্পিকারের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দাবি জানায়৷ বিতর্কের আঁচ এসে পড়ে উত্তরপ্রদেশেও৷ তবে অশান্তি এড়াতে আগেভাগেই রাজ্যের বেশ কিছু মন্দির থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় লাউডস্পিকার৷ সবার প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় গোরক্ষনাথ মন্দিরের কথা৷ যে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ গোরক্ষনাথ মন্দিরের চূড়ায় বসানো একটি লাউডস্পিকারের মুখ ছিল রাস্তার দিকে৷ সেটির মুখ ঘুরিয়ে মন্দিরের দিকে করা হয়েছে৷ যাতে আওয়াজ মন্দিরের বাইরে না যায়৷