ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে সঙ্কটে (Crisis) মার্কিন মুদ্রা (US Currency)। সুইস মুদ্রা সুইস ফ্রাঁ-র নিরিখে ১.২% পড়ল ডলার (Dollar)। এটা ২০১৫ সালের পরে সর্বনিম্ন। সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি রব। মনোভাব যেন, বেচে দাও যা কিছু মার্কিনি। ডলার সঙ্কটের ছায়া ভারতের অর্থনীতিতেও। ডলার বিক্রির যেন দৌড় প্রতিযোগিতা। মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করে কেনা হচ্ছে সুইস ফ্রাঁ। কেনা হচ্ছে জাপানি ইয়েন, ইয়োরোপের ইউরো, সোনা। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববাজারে সোনার দাম সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে ট্রাম্পের ১৪৫% শুল্ক চাপানোর পরে চীনা মুদ্রা উয়ান পড়ে গিয়েছিল মঙ্গলবার। কিন্তু চীনা সরকার দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার পরেই বাড়ছে চীনা উয়ান। এই মুহূর্তে তা সর্বকালীন উচ্চতার কাছাকাছি। দুর্বল ট্রাম্প। পেশি দেখাচ্ছেন জিনপিং। ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে আমেরিকার উপরে ১২৫% শুল্ক চাপিয়েছে চীন।
আগে আমেরিকা চীনের ওপরে ১৪৫% শুল্ক চাপায়। ইয়োরোপও মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছিল। হঠাৎই ট্রাম্প চীন বাদে অন্য সবার ওপর চাপানো শুল্ক স্থগিত করেন ৯০ দিনের জন্য। ওই ৯০ দিনের জন্য ইয়োরোপও মার্কিন দেশের উপর বাড়তি শুল্ক স্থগিত করেছে। এদিকে শুল্ক স্থগিতের ক’ঘণ্টা আগে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়ে অভিযোগের মুখে খোদ ট্রাম্প। স্থগিতের সিদ্ধান্তের ঠিক পরেই আমেরিকায় শেয়ার বাজারে উত্থান দেখা যায়। অভিযোগ, নিজের বিশ্বাসভাজনদের আগাম ইঙ্গিত দিয়েছেন। শেয়ার বাজার বাড়তে চলেছে। এসবের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতি-শুক্রবার জুড়ে পড়ছে মার্কিন শেয়ার বাজার।
আরও পড়ুন: চীনের বদলা, আমেরিকা পণ্যে চাপল ১২৫ শতাংশ শুল্ক
আমেরিকায় চাহিদা তলানিতে, মার্চে পড়েছে জিনিসপত্রের দাম। কিন্ত শুল্ক যুদ্ধের আবহে এপ্রিল-মে মাসে মূল্যবৃদ্ধি মাত্রা ছাড়ানোর আভাস। এদিকে ভারতের অর্থনীতিও খাদের মুখে। এ দেশের বিদেশি মুদ্রার বড় অংশ ডলারে। ডলারের দামে অবাধ পতনে ভারতের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে দেখা যাবে দুর্বলতার ছবি। আপাতত স্থগিত থাকলেও ভারতের উপরও ট্রাম্প ২৬ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপায়। এবার কি ভারতও ডলারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াবে?
দেখুন অন্য খবর: