যোগীরাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি এতটাই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছে যে দুষ্কৃতীদের দাপট আর পুলিশি অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মন্ত্রী নিজেই জেলাশাসকের দফতরের বাইরে ধর্ণায় বসেছেন। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলাশাসক-এর দফতর। ধর্ণায় বসেছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী সুরেশ রাহি। তাঁর দাবি, স্থানীয় গ্রামবাসীদের উপর অকারণ অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
আর ছোটখাট কোনও নেতা নয় এবার খোদ মন্ত্রী পুলিসি বাড়াবাড়ির অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্ণায় বসে পড়লেন। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর এলাকার বিজেপি নেতা, স্থানীয় বিধায়ক ও কারা দফতরের মন্ত্রী সুরেশ রাহি শনিবার দিনভর যোগী আদিত্যনাথের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন। এদিন সকাল থেকেই নিজের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে ধর্ণায় বসে যান মন্ত্রীমশায়। তাঁর অভিযোগ, কিছুদিন আগে স্থানীয় হরগাঁও থানার পিপড়াউলি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী গ্রামের বাসিন্দাদের বেধড়ক মারধর করেন। কারণ গ্রামের গোশালা থেকে ওই পঞ্চায়েত প্রধান বেশ কয়েকটি গোরু ছেড়ে দিয়েছিলেন। যার প্রবল প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অথচ ওই ঘটনার পরে ১৭০ জন স্থানীয় বাসিন্দাদে্র বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মহকুমাশাসকের দায়ের করা নোটিসের ভিত্তিতে ওই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। মন্ত্রীর অভিযোগ, এরপর থেকে বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। জেরার নামে শুরু হয় অত্যাচার। তাই কোনও উপায় না পেয়ে মন্ত্রী নিজেই পাল্টা পিটিশন দাখিল করেন। ওই গ্রাম প্রধানের স্বামীকে দুষ্কৃতী আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী এদিন দাবি করেন অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে তড়িঘড়ি লখনউয়ে রাজ্য সচিবালয়ে্র থেকে নির্দেশ আসে সীতাপুরে্র জেলাশাসকের কাছে। এরপরেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার দেখা করেন কারামন্ত্রী সুরেশ রাহির সঙ্গে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় শেষে ধর্নায় সমাপ্তি টানেন মন্ত্রীমশায়।