লখনউ: পরপর মেয়ের জন্ম দিয়েছে স্ত্রী৷ কিন্তু স্বামী ও তাঁর পরিবারের পুত্র সন্তান লাভের আকাঙ্খা ছিল৷ সেই চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বউমাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের৷ নির্যাতনের জেরে গুরুতর জখম হন ওই মহিলা৷ চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলায় এক মহিলার উপর নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিস৷ থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর৷ তবে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিস৷
মহিলার অভিযোগ, পুত্র সন্তান জন্ম না দেওয়ার অপরাধে প্রতিদিন তাঁর উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা৷ দ্বিতীয়বার মেয়ের জন্ম দেওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়৷ প্রায়ই খেতে দেওয়া হত না তাঁকে৷ নিত্য গালিগালাজ ও মারধর লেগেই থাকত৷ তাই দুই মেয়ের ভরণপোষণের জন্য শ্রমিকের কাজ করা শুরু করেন৷ কিন্তু তারপরেও স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার বন্ধ হয়নি৷ ভাইরাল ওই ভিডিয়োই বড় প্রমাণ৷
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দুই মহিলা মিলে এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করছে৷ একজন বুকে-পিঠে লাথি মারছে৷ অন্যজন চুলের মুঠি ধরে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে৷ আশেপাশে মানুষ জড়ো হয়ে সেই দৃশ্য দেখছে৷ একজনকেও এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি৷ এদিকে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন ওই মহিলা৷ তিনি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি করেন৷ কিন্তু ওই দুই মহিলা তাঁর কোনও কথায় কর্ণপাত না করে মারধর জারি রাখে৷
এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শিউরে ওঠেন নেটিজেনরা৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন৷ মাহোবার পুলিস সুপার সুধা সিং জানিয়েছেন, ‘ওই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’
আরও পড়ুন: Kashmiri Teacher Transferred: কাশ্মীরে ১৭৭ জন শিক্ষককে নিরাপদ স্থানে বদলি, অবশেষে নড়ল টনক