লখনউ: অসমের পথ অনুসরণ করে এবার উত্তর প্রদেশেও আসতে চলেছে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন। শুক্রবারে রাজ্যের আইন কমিশন একটি খসড়া বিল প্রকাশ করেছে। ১১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় এই নীতি ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ২ সন্তান নীতির প্রয়োগ করা হয়েছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রেও। সরকারের যুক্তি জনবিষ্ফোরণে রাশ টানতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশের রাজ্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ.এন মিত্তল জানিয়েছেন, রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নতুন বিল অনুসারে দুয়ের বেশি সন্তান থাকলে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে না। মিলবে না সরকারি চাকরি।
আরও পড়ুন: যোগী রাজ্যে খবর করে সাংবাদিক খুন
বিল সম্পর্কে রাজ্যবাসীর মতামত জানতে চেয়ে আইন কমিশনের ওয়েব সাইটে বিলটি আপলোড করা হয়েছে। দুই সন্তান নীতি অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল। ল কমিশনের সুপারিশ মেনে সরকারি গেজেট প্রকাশের এক বছর পর এই আইন কার্যকর করা হবে। গোটা উত্তর প্রদেশে প্রযোজ্য হবে এই আইন। ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাজ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি কার্যকর করা হবে।দুই সন্তান নীতি অনুসরণ করলে মিলবে বিশেষ সরকারি সুবিধা।এখানেই শেষ নয়, বিলের খসড়ায় প্রত্যেক পরিবার পিছু ৪টি করে রেশন কার্ড বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দুই সন্তান থাকলে সরকারি ক্ষেত্রে থাকছে বিশেষ সুযোগ। দুটি সন্তান থাকলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুবার অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধির সুবিধা মিলবে। জমি বা বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে মিলবে সহায়তা। বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পরিষেবায় ছাড় ও জাতীয় পেনশন স্কিমের অধীনে ইপিএফে অতিরিক্ত তিন শতাংশ অর্থ মিলবে। যাদের একটি সন্তান রয়েছে, তাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও সন্তানের ২০ বছর অবধি পড়াশোনার খরচ বহন করবে সরকার। সরকারি চাকরি ছাড়াও দুই সন্তান নীতি অবলম্বন করলে, গৃহ ঋণ, বিদ্যুতের বিল ও জল করের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যোগী সরকার।