লখলউ: কেন্দ্রের দাবি দেশে অক্সিজেনের সংকট নেই৷ অথচ, বিজেপি বিধায়কের দাবি, অক্সিজেন না পেয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ যা নিয়ে ফের চাপের মুখে মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার৷
আরও পড়ুন- মোদি-মমতার এডিট ছবি নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তেরা কী ভাবে অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছেন সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। অক্সিজেন সঙ্কট নিয়ে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হাসপাতালগুলি। চাপের মুখে পিএম কেয়ার্সের টাকায় দেশ জুড়ে ১৫০০টি মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জায়গায় প্ল্যান্ট নির্মাণ হয়েছে৷ তা সত্বেও অক্সিজেন সংকট যে মেটেনি তা বিজেপি বিধায়কের দাবিতে স্পষ্ট৷
আরও পড়ুন- জাতীয় রাজনীতির রোডম্যাপ ঠিক করতে মমতা-সোনিয়া হাইভোল্টেজ বৈঠক
উত্তরপ্রদেশের গোপামাউ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শ্যাম প্রকাশ রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে শত শত মানুষ মারা গিয়েছে৷ বিধায়ক রাজকুমার আগরওয়াল সহ কয়েক লাখ পরিবারের কষ্ট কেউ দেখতে পাচ্ছে না। এখানেই থামেন নি ওই বিধায়ক৷ তাঁর আরও দাবি, তিনি যা লিখেছিলেন তা অনেকেই লিখে রেখেছেন। সবাই জানেনও। এই বিষয়ে প্রত্যেকেরই লেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন- চতুর্থ স্তম্ভ: রাষ্ট্রপতি ভবনে কে?
পাল্টা স্থানীয় বিজেপির জেলা সভাপতি সৌরভ মিশ্র বলেন, অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যু হয়নি। রাজ্য সরকার গুলির রিপোর্টের ভিত্তিতেই কেন্দ্র জানিয়েছে অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যু হয়নি৷ তারপরও যদি বিধায়কের মনে হয় অক্সিজেনের অভাবে মৃ্ত্যু হয়েছে, তাহলে রাজ্য সরকার গুলির রিপোর্ট ভুল৷ বিধায়ক শ্যাম প্রকাশ রাজ্য সরকার গুলির বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন৷ শ্যাম প্রকাশ আদাতলে মামলা করলে তিনি তাঁর সঙ্গে থাকবেন৷
আরও পড়ুন-কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ইয়েদুরাপ্পার আস্থাভাজন বোম্মাই
গত এপ্রিল-মে মাসে অক্সিজেনের অভাবে কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা ‘অজানা’ বলে বিতর্কের মুখে পড়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতা প্রমাণিত। প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেছেন। আর সেখানে গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কখনও আমরা, কখনও ঝাড়খণ্ড তা সরিয়েছে। এটা কি আমাদের কাজ! সার্বিক ভাবে বিরোধীদের মতে, করোনা নিয়ে এটা কেন্দ্রের গা ছাড়া মনোভাবের পরিচয়। প্রবল সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিজেপি নেতারা দিনভর রাজ্যগুলির উপরে দোষ চাপাতে চেষ্টা করেছেন।