লখনউ: আগামী সোমবার উত্তরপ্রদেশের শেষ দফার ভোট (UP Assembly Election)। তার আগে শনিবার প্রচারের শেষদিনে চমক দিল অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি। প্রচারের শেষদিনেও উত্তরপ্রদেশে চলল দলবদলের খেলা। বিজেপির সংসদ সদস্য রীতা বহুগুনা যোশীর পুত্র মায়াঙ্ক যোশী যোগদান করলেন সমাজবাদী পার্টিতে (Mayank Joshi Joins Samajwadi Party)। এদিনই তিনি অখিলেশের (Akhilesh Yadav) এক জনসভায় হাজির হয়ে সমাজবাদী পার্টির পতাকা হাতে তুলে নেন। শনিবার ওই সভাতেই মায়াঙ্কের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের প্রবীণ আইএএস অফিসার রহে ফতেহ বাহাদুরও সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিলেন।
এখানেই শেষ নয়। শনিবারই রীতা আবার কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ সাংসদ সচিন পাইলটকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় জন্য খোলাখুলি আমন্ত্রণ জানালেন। রীতার বক্তব্য, কংগ্রেসে থেকে সচিনের আর কিছু হবে না।
রীতা অবশ্য বিজেপিতেই এখন বেশ কিছুটা কোণঠাসা। উত্তরপ্রদেশে ভোটে তিনি বিজেপির কাছে ছেলের জন্য টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব মায়াঙ্ককে টিকিট দেননি। সম্ভবত সেই অভিমান থেকেই মায়াঙ্ক এদিন সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে বিজেপিকে কিছুটা শিক্ষা দিতে চাইলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদতে রীতা ছিলেন সক্রিয় কংগ্রেস নেত্রী। একসময় তিনি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রীও ছিলেন। সোনিয়া গান্ধী এবম রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ছিল খুবই ঘনিষ্ঠ। এহেন রীতাও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়ে যাওয়ায় কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে কিছুটা ধাক্কা খায়।
আরও পড়ুন: IMA Vote: আইএমএ-র ভোট ঘিরে ধুন্ধুমার, প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাগুলি বলছে, এবার উত্তরপ্রদেশে মূল লড়াই হচ্ছে বিজেপির সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির। প্রথম দিকে সমাজবাদী পার্টি কিছুটা ঝিমিয়ে থাকলেও ভোট যত এগিয়েছে, ততই ঝাঁঝ বেড়েছে অখিলেশ যাদবের। জয়ন্ত চৌধুরির আরএলডির মতো একাধিক ছোট দলের সঙ্গে এবার জোট বেঁধেছে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি। একেবারে শেষপর্বে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অখিলেশের হয়ে বারাণসীতে প্রচার চালান। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কলকাতায় ফেরেন।
মাটি ছাড়তে নারাজ কংগ্রেসও। বেশ কিছুদিন ধরে উত্তরপ্রদেশে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মাঝে মধ্যে উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধীও। প্রিয়াঙ্কার সভায় এবং জনসংযোগ যাত্রাগুলিতে ভিড়ও হচ্ছে ভালই।