লখনউ: ছেলে হাজতে৷ বাবার পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার ‘রেল রোকোর’ ডাক দিয়েছেন লখিমপুরের কৃষকরা৷ তার আগে সেই লখিমপুরেই দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে৷ নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী৷ গত ৩ অক্টোবরের হিংসায় যে আটজনের মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের মধ্যে দুই বিজেপি কর্মী এবং মন্ত্রীর গাড়ির চালক ছিলেন৷ রবিবার নিহত বিজেপি কর্মী শ্যাম সুন্দর নিশাদের বাড়ি যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে৷ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তাঁদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন৷
আরও পড়ুন: টিকটিকি তাড়াতে গিয়ে ২৫ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু যমজ কিশোরের
ওই দিন একটি স্কুল চত্বরে নিহত বিজেপি কর্মীদের জন্য স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ সঙ্গে ছিলেন লখিমপুরের সদরের বিজেপি বিধায়ক যোশেক বর্মা, দলের নেতা অরবিন্দ সিং সঞ্জয় প্রমুখরা৷ সেখানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চলে যান শ্যাম সুন্দর নিশাদের বাড়ি৷ সেখানে গিয়ে লখিমপুরের ঘটনায় দায় পুলিশ ও প্রশাসনের উপর চাপান৷ ওই দিন পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক ছিল না বলে মন্তব্য করেন৷ বলেন, পুলিশের সামনে যেভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তাকে চূড়ান্ত গাফিলতি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না৷ তাঁর প্রশ্ন, কৃষকরা যখন রাস্তায় ছিল তখন কেন ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়নি? কেনই বা সেই সময় রাস্তা দখলের অনুমতি দেওয়া হল? নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করে জানান, রাজ্য সরকার পুলিশ কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করবে৷ তদন্তে কারওর দোষ প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড়া হবে না৷
নিহত কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অজয় মিশ্র টেনি৷ ছবি- সংগৃহীত৷
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের সেনা শিবিরে সরানোর নির্দেশিকা ভুয়ো, জানাল কাশ্মীর পুলিশ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের গাড়ির ধাক্কায় লখিমপুরে চার কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে উত্তাল উত্তর প্রদেশ-সহ গোটা দেশের রাজনীতি। ওই ঘটনায় ওই চার কৃষক-সহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়ির ধাক্কার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাই কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। এই পরিস্থিতিতে লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। গ্রেফতারও হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে। এবার মন্ত্রীর গ্রেফতারের দাবিতে ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি কৃষকদের৷