নয়াদিল্লি: উৎসব করুন৷ কিন্তু বিপদ ডেকে আনবেন না৷ আজ শনিবার টিকাকরণ নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে রাজ্যগুলিকে করোনা গাইডলাইন কঠোরভাবে মনে চলার কথা মনে করিয়ে দেয় কেন্দ্র৷ এদিন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বৈঠকে উপস্থিত প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আরও একবার জানিয়ে দেন, উৎসবের সময় সংক্রমণের ধাক্কা যদি আটকাতে হয় তাহলে কোভিড বিধি মেনে চলতেই হবে৷
আরও পড়ুন: লখিমপুর: বিজেপি কর্মীদের পিটিয়ে মেরে কেউ অন্যায় করেননি, রাকেশ টিকায়েতের মন্তব্যে বিতর্ক
অক্টোবর-নভেম্বর মানেই উৎসবের মাস৷ ওই সময় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ২১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি পাঠানো হয়৷ তাতে বলা হয়, কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে কোনও জমায়েত করা যাবে না৷ যেখানে পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশ বা তার কম সেখানে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কম সংখ্যক লোক জমায়েত করতে পারবে৷ সব জায়গায় কোভিড বিধি চলতে হবে৷ যতটা কম সম্ভব দর্শনার্থীরা মণ্ডপে গেলে ভালো৷ অনলাইনে ঠাকুর দর্শন ও উৎসব পালনে উৎসাহ বাড়াতে হবে৷ দুর্গাপুজা থেকে ডান্ডিয়া, গরবা, রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো এবং ছট পুজো প্রতীকীভাবে পালন করতে হবে৷ প্রসাদ, শান্তির জল ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো৷
আরও পড়ুন: ১০০ বিলিয়ন ক্লাবের নতুন কর্তা, জেফ বেজোস ও এলন মাস্কের সঙ্গে নাম জুড়ল মুকেশ আম্বানির
এই এসওপি আরও একবার রাজ্যগুলিকে মনে করিয়ে দেন রাজেশ ভূষণ৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য৷ তিনি বলেন, উৎসব মানেই আনন্দ, জমায়েত এবং মঙ্গলময়৷ যদি করোনা বিধি ঠিকমত মানা না হয় তাহলে এতদিনের পরিশ্রম বৃথা যাবে৷ তাই কঠোরভাবে করোনাবিধি মেনে চলতেই হবে৷ সেই সঙ্গে টিকাকরণে জোর দিতে হবে৷ প্রথম ও দ্বিতীয় মিলিয়ে ভারতে ৯৪ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে৷ দ্রুত এই সংখ্যাটিকে ১০০ কোটিতে নিয়ে যেতে চাইছে সরকার৷ রাজ্যগুলির কাছে মোট ৮ কোটি ভ্যাকসিন আছে৷ হয়তো উৎসবের মধ্যেই আর ছ’কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে৷ এদিন বৈঠকে অসম, অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, ছত্তীসগড়, গুজরাত, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওডিশা, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ অংশ নিয়েছিল৷