ওয়েব ডেস্ক: দেশের উন্নতির জন্য নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা জরুরি, সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Union Education Minister) ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। সম্প্রতি লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ লেটার অফ ইনটেন্ট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এই মন্তব্য করেন তিনিও।
যুক্তরাজ্যের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর (National Education Policy 2020) আওতায় আসন্ন সময়ে ভারতের শিক্ষা সংক্রান্ত পরিকল্পনাগুলির কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমানে ভারতের উচ্চশিক্ষায় গ্রস এনরোলমেন্ট অনুপাত ২৬ থেকে ২৭ শতাংশে পৌঁছেছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী এই হার আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রকে যৌনশিক্ষা নীতি বিবেচনার সুপ্রিম আহ্বান
শিক্ষামন্ত্রী প্রধান বলেন, “আজ ভারতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩০ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে ৪ কোটির বেশি ছাত্র উচ্চশিক্ষায় পাঠরত। আমাদের দেশে ১২০০-র বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫০,০০০-এর বেশি কলেজ রয়েছে। কিন্তু সেক্ষত্রে ‘গ্রহ এনরোলমেন্ট অনুপাত’ মাত্র ২৬-২৭ শতাংশ। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুসারে আমরা আগামী পাঁচ বছরে তা ৫০ শতাংশে পৌঁছতে চাই।”
এর পাশাপাশি, তিনি শিক্ষাকে জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করে বলেন, “আজ ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। প্রধানমন্ত্রী মোদির লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর তা করতে হলে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন জরুরি।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১৯৮৬ সালের শিক্ষা নীতি বাতিল করে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুমোদন করে। নতুন শিক্ষানীতির অধীনে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে কোনও শিক্ষার্থীকে জোর করে নির্দিষ্ট একটি ভাষা শিখতে বাধ্য করা হবে না।
দেখুন আরও খবর: