কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: এবার মহারাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি তুললেন শিবসেনা প্রধান এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। একনাথ শিণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শুক্রবার প্রথম কোনও প্রকাশ্য সভায় ভাষণ দিলেন উদ্ধব। ওই সভাতেই তিনি নতুন করে ভোটের দাবি তোলেন। উদ্ধব বলেন, আমি কিছুতেই ওি বিদ্রোহীদের শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করতে দেব না।
উজ্ঝব বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, সাহস থাকলে আজই বিধানসভার ভোট করা হোক। যদি আমরা ভুল করে থাকি, তা হলে জণগন আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। বিদ্রোহীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, আজ যা করা হল, তা আড়াই বছর আগে করলেই হত। তখন করা হলে আজকের মতো এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত আড়াই বছর ধরে যখন বিজেপি আমাকে এবং আমার পরিবারকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছিল, তখন এই বিদ্রোহীরা নীরব ছিলেন। আসলে তখন থেকেই আপনারা তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। উদ্ধব বলেন, কেউ কেউ বলছেন, মাতোশ্রীতে আসার ডাক পেলেই বিদ্রোহীরা ফিরে আসবেন। তাঁদের নাকি আমার প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। তার জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমার সঙ্গে যদি কথা বলতেই হত, তা হলে তো আর আপনাদের ওই ভ্রমণের দরকারই ছিল না। এখন আপনারা বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন।
আরও পড়ুন: Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি তুললেন উদ্ধব ঠাকরে
তিনি বলেন, এখনও যে ১৫-১৬ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে রয়েছেন, তাঁদের জন্য আমি গর্বিত। নানা হুমকির মধ্যেও তাঁরা আমাকে ছেড়ে যাননি। উদ্ধব জানান, ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শুধু শিবসেনারই ভবিষ্যত নয়, ভারতীয় গণতন্ত্রেরও ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে।
আগেই শিবসেনা সু্প্রিম কোর্টে রাজ্যপালের বিধানসভার অধিবেশন আহ্বানকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে। একই সঙ্গে ৩ এবং ৪ জুলাইয়ের বিধানসভার গোটা কার্য বিবরণী বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্পিকার নির্বাচনের বৈধতাও তারা শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে। দুই পক্ষই এখন তাকিয়ে আছে ১১ জুলাইয়ের রায়ের দিকে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা শিবসেনার সরকারি গোষ্ঠীকে আশ্বাস দিয়ে জানান, তাঁরা চোখ বুজে বসে নেই।
আরও পড়ুন: Canning Murder: ক্যানিংয়ে খুনের তদন্তে সিআইডি-ফরেনসিকের দল