ওয়েব ডেস্ক: রাস্তায় তাকালেই মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় টাক মাথার ছবি দেওয়া। পাশে বড় বড় করে সেই ব্যক্তিরই চুল গজানোর ছবি। পাশে দেওয়া থাকে ফোন নম্বর ও ঠিকানা। দেখানো বয় কীভাবে টাক মাথায় চুল গজিয়েছে। সৌজন্যে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি (Hair Transplant Surgery)। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, বংশগত কারণ ছাড়া এখন জীবন যাত্রার কারণে চুলের দফারফা বেশি হচ্ছে। ফলে চুলের সমস্যা বাড়ছে। অথচ দেখনদারির যুগ। ফলে অন্ধের মতো অনেকেই ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু তা সঠিক কি না। সেই প্রতিষ্ঠানের উপর ভরসা করা যায় কি না সেগুলি কি খতিয়ে দেখা হয়? বাছ বিচার না করায় সামান্য ভুলে যে মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে! উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) কানপুরের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। ভুল সার্জারিতে দুই ইঞ্জিনিয়ারের (Engineers) মৃত্যু হল। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুষ্কা তিওয়ারি (Anushka Tiwary) নামে এক মহিলা ডাক্তারকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ইঞ্জিনিয়ার বিনীত কুমার দুবের স্ত্রী জয়া ত্রিপাঠি গত ৯ মে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, গত ১৩ মার্চ তাঁর স্বামীর সার্জারি হয়। ১৫ মার্চ অন্য একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, বিনীত দুবে ও প্রমোদ কাটিয়ার হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়। ডাক্তার অনুষ্কা তিওয়ারি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে সোমবার তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: মাথার দাম ৫ লক্ষ, পুলিশি এনকাউন্টারে নিকেশ মাও শীর্ষ কমান্ডার
সরকারি আইনজীবী দিলীপ সিং বলেন, অনুষ্কা তিওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অনুষ্কা ওই সার্জারি করেছেন। যেটা তাঁর ফিল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এই বিষয়ে আমাদের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কাকাদেব থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার অনুষ্কা তিওয়ারি দোষী। আত্মসমর্পণ করার পর তাঁকে জেল হেফাজত হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: