নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশন নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। অধিবেশোনের সময়ে বিরোধীদের তাণ্ডবে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে বলে দাবি সরকারের। পালটা সরকারের বিরুদ্ধেও একজট হয়ে আক্রমণের সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। এই বিষয়ে জবাব দিতে আসরে নামলেন মোদি সরকারের দুই মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি, গ্রেফতার একাধিক বিজেপি মহিলা কর্মী
বৃহস্পতিবার সকালে সরকারের বিরুদ্ধে সংসদের বাইরে মিছিল করে বিরোধী সাংসদেরা। যা নিয়ে ক্ষভ প্রকাশ করে বিজেপি। বিকেলের দিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “মানুষ চায় তাঁদের কথা সংসদে তুলে ধরা হোক। কিন্তু বিরোধীরা কেবল নৈরাজ্য করতে আগ্রহী। সেটাই তাঁদের লক্ষ্য। সাধারণ মানুষ বা তাঁদের করের টাকার বিষয়ে কোনও গুরুত্ব দেয় না বিরোধীরা।”
আরও পড়ুন- যোগী রাজ্যে মুসলিম যুবককে ‘জয় শ্রী রাম’ বলানোর জন্য মারধর
সরকার স্বাভাবিকভাবে সংসদ চালাতে দিচ্ছে না বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। যা নিয়ে অনুরাগ ঠাকুরের পালটা কটাক্ষ, “কুমীরের কান্না না কেঁদে দেশবাসীর কাছে বিরোধীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। যা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “রাজ্যসভার টেবিলে উঠে পড়ছেন বিরোধী সাংসদেরা। এটা গণতন্ত্রকে আপমান।”
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল যুবনেতাদের দেখতে ফের SSKM-এ গেলেন মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “মঙ্গলবার কয়েকজন বিরোধী সাংসদ টেবিলের উপরে উঠে গিয়েছিলেন। এসব করে তাঁরা খুব গর্বিত মনে করেন। মনে করেন মহান কিছু করে ফেললেন। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেকে ভিডিও রেকর্ড করেছেন।”
আরও পড়ুন- জমি নিয়ে বিবাদ, আলিপুরদুয়ারে মহিলাকে নগ্ন করে বেধড়ক মার, ভাইরাল ভিডিও
এখানেই শেষ হয়ে যায়নি বিরোধীদের প্রতি মন্ত্রী প্রহ্লাদের আক্রমণ। তিনি আরও বলেছেন, “রাহুল গান্ধী বলছেন ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ হচ্ছে। সংসদে কী হচ্ছে সেটা সমগ্র দেশ দেখছে। ন্যূন্তম দায়িত্বজ্ঞান থাকলে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাক বিরোধীরা। চেয়ারম্যানের কাছে আমাদের আবেদন যাতে এই সকল বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে এই ধরনের ঘটনা সংসদে আর না ঘটে।”
আরও পড়ুন- দাঁতনে হাতছাড়া বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত, বোর্ড গঠন করল তৃণমূল
এই বিষয়ে কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ শশী থারুর বলেন, “সরকার চাইছে না সংসদের স্বাভাবিক কাজ হোক। সেই কারণেই আলোচনা ছাড়াই একের পর এক বিল পাস করিয়ে নিচ্ছে। করোনার টিকাজকরণ, বর্তমাণ অর্থনৈতিক অবস্থা, বেকারত্ব, কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা দরকার। কিন্তু সরকার আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে।” এদিন সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “সংসদে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।”