বেঙ্গালুরু: গাজিয়াবাদের এক মুসলিম ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে৷ তার পরই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ জেরার জন্য ট্যুইটার ইন্ডিয়ার প্রধান মনীশ মাহেশ্বরীকে তলব করা হয়৷ কিন্তু তার আগে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালেন মাহেশ্বরী৷
আরও পড়ুন: ‘মোদি চোর’ মন্তব্যের জন্য আদালতে হাজির রাহুল
২৩ জুন মনীশ মাহেশ্বরী বেঙ্গালুরু হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন৷ এর দু’দিন আগে লোনি থানার পুলিশের কাছ থেকে জেরার নোটিশ পান তিনি৷ নোটিশে বলা হয়েছিল, ২৩ জুন সকাল সাড়ে দশটায় লোনি থানায় তাঁকে হাজিরা দিতে হবে৷ মাহেশ্বরীও তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ তবে জানিয়েছিলেন, ভিডিও কলের মাধ্যমে তিনি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত৷ কিন্তু মাহেশ্বরীকে সশরীরে থানায় উপস্থিত হতে বলা হয়৷
এদিকে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আজ বৃহস্পতিবার থানায় যাননি মনীশ মাহেশ্বরী৷ সার্কেল অফিসার (লোনি) অতুল কুমার সোঙ্কার জানান, ট্যুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে যে সময়ে আসতে বলা হয়েছিল তিনি আসেননি৷
আরও পড়ুন: ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশ
গত সপ্তাহে ট্যুইটার ইন্ডিয়া, একাধিক সাংবাদিক এবং কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অভিযোগ, এক মুসলিম ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে এরা৷ ঘটনা নিয়ে ট্যুইটারে নানা পোস্ট করেছিলেন তাঁরা৷ ট্যুইটারকেও ওই সব পোস্ট ডিলিট করে দিতে বলা হয়৷ অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ পর ৫০টি পোস্ট ডিলিট করে ট্যুইটার৷
এর আগেও ভারতের আইন মেনে চলা নিয়ে ট্যুইটারের মধ্যে গা ছাড়া মনোভাব দেখা হয়৷ সম্প্রতি ডিজিটাল আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়ায় ট্যুইটার ইন্ডিয়া৷ ডিজিটাল বিধি ঠিক মতো না মানায় এবং উত্তরপ্রদেশের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার অভিযোগে ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারায় ট্যুইটার ইন্ডিয়া৷ তাদের বিরুদ্ধে যাতে ফৌজদারি ধারায় মামলা দায়ের করা যায় সেই জন্য এই পদক্ষেপ৷