আগরতলা: ত্রিপুরা পুরভোটের (Tripura Civic Polls) ফল প্রকাশের পরেই তৃণমূল প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। রবিবার তেলিয়ামুড়া সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের গণনা (Tripura Civic Polls Result) কমিটির সদস্য রথীন্দ্র এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অভিরয় দাস গণনাকেন্দ্র থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ ফেরার সময় বিজেপির বাইক বাহিনী তাঁদের উপর হামলা করে। প্রার্থী অভিরয় দাসের মাথা ফাটিয়ে দেয় বিজেপির দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গণনা কমিটির সদস্য রথীন্দ্র গুরুতর আহত। অন্যদিকে সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পেলেন না মহিলারাও। তেলিয়ামুড়া এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মনোরমা দাসকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
এই প্রথম নয় ত্রিপুরা পুরনির্বাচনের আগে থেকেই বার বার তৃণমূলের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বার বার অন্যান্য বিরোধীরাও আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। এই পরিস্থিতিতেই পুরভোট হয়। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ পুরভোটের দিনও আগরতলার একাধিক ওয়ার্ডে আক্রান্ত হন বিরোধীরা। ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল, রিগিং, ভোটারদের ভয় দেখানো থেকে শুরু করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে তৃণমূল, সিপিএম। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ভোট চলাকালীন নজিরবিহীন নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ত্রিপুরায় অতিরিক্ত দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। তবে সেই বাহিনী মোতায়েন করার পরেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি, অভিযোগ বিরোধীদের।
আরও পড়ুন – পুরভোটে গেরুয়া ঝড়ের মাঝেই ত্রিপুরায় খাতা খুলল তৃণমূল
এরপর ত্রিপুরা পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশের শীর্ষ আদালত এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, রবিবার সকাল থেকে ত্রিপুরা পুরভোটের গণনা শুরু করা হয়।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশই ব্যবধান স্পষ্ট হতে শুরু করে। দিনের শেষে দেখা যায় বামেরা সর্বসাকুল্যে পেয়েছে মাত্র ৩টি আসন। তৃণমূল পেয়েছে একটি আসন। TIPRA পেয়েছে একটি আসন। মোট ৩৩৪টি আসনের লড়াইয়ে বিজেপি একাই জিতেছে ৩২৯টি আসনে। এর মধ্যে ১১২টি আসনে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী। এই ফল ঘোষণার পরেই আবার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।