আগরতলা: মানসিক ভারসাম্যহীন ৩৫ বছরের মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন। তিনি নাকি সুইসাইড নটে লিখে গিয়েছেন নিজের পিসির নাম। সেই কারণে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পিসিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যা ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ঘটনাটি উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার। সেখানের তৃণমূলনেত্রী পান্না দেব-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজের ভাইজিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতের দিকে ওই নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার আদালতে তোলা হলে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পান্না দেব ত্রিপুরার রাজনৈতিক জগতের পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন রাজনীতির ময়দানে। তিন দশক কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগদান করেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের প্রতীকে প্রার্থীও হয়েছিলেন আগরতলা কেন্দ্র থেকে। যদিও জয়ের মুখ তাঁর দেখা হয়নি। সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ত্রিপুরা নিয়ে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয়তা বেড়েছে পান্নাদেবীর।
আরও পড়ুন- আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদির নামে প্রচার করবো, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের
এই অবস্থায় ভাইজিকে আত্মহতার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারির পিছনে ষড়যন্ত্র দেখছেন পান্না দেব, তাঁর মতে, “আমার ভাইজি গত ১৪ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। আর সে আচমকা আত্মহত্যা করল, তাও আবার সুইসাড নোটে আমার নাম লিখে! সমগ্র ঘটনার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।” মৃতা মহিলা মানসিক এবং শারীরিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন রাজশ্রীর মা।
আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশের ডাক্তারি ছাত্রদের সিলেবাসে জায়গা পেল হেগড়েওয়ার-দীনদয়াল উপাধ্যায়-আম্বেদকর
এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব। পান্না দেব-র গ্রেতারের ঘটনায় ঘাসফুলের স্থানীয় নেতা সুবল ভৌমিক বলেছেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। ষড়যন্ত্র করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পান্না দেব-কে ফাঁসানো হল।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “পান্না দেব লড়াকু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এখন ত্রিপুরায় তৃণমূলের মাটি শক্ত হচ্ছে বলেই আমাদের অভিজ্ঞ নেত্রীকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হল।”