আগরতলা: ত্রিপুরায় খাতা খুলল তৃণমূল। আমবাসা পুর পরিষদের একটি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী। ত্রিপুরা পুরভোটে (Tripura Civic Polls) সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশের শীর্ষ আদালত এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার সকাল থেকে ত্রিপুরা পুরভোটের (Tripura Civic Polls Result) গণনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আগরতলা কর্পোরেশন, ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ হয়। তার মধ্যে ৭টিতে ইতিমধ্যেই বিনা লড়াইয়ে জিতে গিয়েছে বিজেপি। মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১২টিতে পকেটে পুরেছে গেরুয়া শিবির। বাকি ২২২টি ওয়ার্ডের গণনা চলছে আজ। মোহনপুর, উদয়পুর, রানিরবাজার, শান্তিরবাজার, বিশালগড় পুরসভা এবং কমলপুর ও জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি।
সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে গণনা চলছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগরতলার ৫১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। ১২টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। বাকি ৮টিতে বামেরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। আমবাসায় পুর পরিষেদের ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টিতে জয়ী বিজেপি। একটি করে আসন পেয়েছে তৃণমূল এবং সিপিএম।
আমবাসার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুমন পাল বলেন, ‘আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করার জন্য আমবাসার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রত্যেক ভোটারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই জয় আমার নয়, এই জয় এলাকাবাসীর জয়, মা মাটি মানুষের জয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। জয় ত্রিপুরা।’
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় পুরভোটে সন্ত্রাস হয়নি! দাবি দিলীপের
বৃহস্পতিবার পুরভোটের দিন আগরতলার একাধিক ওয়ার্ডে আক্রান্ত হন বিরোধীরা। ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল, রিগিং, ভোটারদের ভয় দেখানোব থেকে শুরু করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে তৃণমূল, সিপিএম। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ভোট চলাকালীন নজিরবিহীন নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ত্রিপুরায় অতিরিক্ত দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। তবে সেই বাহিনী মোতায়েন করার পরেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি, অভিযোগ বিরোধীদের।
ত্রিপুরা তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক কলকাতা টিভি ডিজিটালকে বলেন, ‘মাত্র তিন মাস আগে তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করেছে। বিজেপির লাগামছাড়া সন্ত্রাসের জেরে বহু আসনে প্রার্থীই দেওয়া যায়নি। ভোটের দিনও সন্ত্রাস হয়েছে। সিপিএমের ১৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। রাজ্যজুড়ে সংগঠন রয়েছে ওদের। তা সত্ত্বেও আমরা বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে আমরা আরও ভালো ফল করতাম।’