আগরতলা: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আগরতলা পুরসভার দখল নিল বিজেপি। ৫১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টিতে জিতে ইতিমধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে গেরুয়া শিবির (Tripura Vote Counting)। বামেদের শুধু আগরতলা পুরসভা হাতছাড়াই হয়নি। বামেদের পিছনে ফেলে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল তৃণমূল কংগ্রেস (Tripura TMC News)। প্রথমবার ভোটে লড়ে আগরতলার ১৬টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল। বামেরা সেখানে ১২টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে। আগরতলায় দলের এই সাফল্যে খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব (Agartala election result 2021)। আগরতলায় বিজেপি পেয়েছে ৫৬.৮৮ শতাংশ ভোট ৷ তৃণমূলের দখলে ২০.২২ শতাংশ ভোট গিয়েছে ৷ সেখানে সিপিএম পেয়েছে ১৮.৪৭ শতাংশ ৷ ৫১টি পুর ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷
এই সাফল্যে কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ২০ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়ায় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি ৷ টুইটে লিখেছেন, আমরা দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে এলাম ৷ প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের সবটুকু দিয়ে লড়াই করেছেন ৷ এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদ ৷ বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে টুইটারে অভিষেক লিখলেন, ‘সবে তো খেলা শুরু, এ বার আসল খেলা হবে ৷’ দলের-র মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠনের বয়স আড়াই মাসও হয়নি। দলের নেতা-কর্মীদের ওপর এর মধ্যে একাধিক বার হামলা-মামলা হয়েছে। এমনকী ভোটের দিনেও সন্ত্রাস হয়েছে। নাগরিকদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও তৃণমূলকে বিজেপি দাবিয়ে রুখতে পারেনি। আগরতলায় দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে তারা উঠে এসেছে।’ এই সাফল্যের জন্য ত্রিপুরার মানুষকে ধন্যবাদ জানান তৃণমূলের মুখপাত্র।
It is exceptional for a party beginning with negligible presence to successfully contest municipal elections and emerge as the PRINCIPAL OPPOSITION in the state with more than 20% vote share (1/2)
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) November 28, 2021
;
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৃণমূলের অভিষেক, আমবাসার একটি ওয়ার্ডে ফুটল ঘাসফুল
কুণালের মতে, ‘আড়াই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসা সোজাকথা নয়।’ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত বলেই তিনি মনে করছেন।
যদিও ত্রিপুরার পুরভোট নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আমবাসার একটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী। এই প্রসঙ্গে সুকান্তর মন্তব্য, ত্রিপুরায় অনেক টাকা ছড়িয়ে তৃণমূল কিছু করে উঠতে পারেনি। আমবাসায় সান্ত্বনা পুরস্কার পেয়েছে। এই কটাক্ষের প্রত্যুত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমবাসায় তৃণমূলের কর্মীদের ওপর হামলার কথা কারও অজানা নয়। তার পরেও সেখান থেকে জেতা নট আ ম্যাটার অফ জোক।’ যদিও আমবাসা পুর পরিষদ বিজেপি-র। সোমামূড়া নগর পঞ্চায়েতের সব আসনেও জয়ী গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: বিএসএফের ক্ষমতা-মূল্যবৃদ্ধি সহ সর্বদলে ১০ দাবিতে সরব তৃণমূল
ত্রিপুরা পুরভোটে আগরতলাকেই পাখির চোখ করেছিল ঘাসফুল শিবির। সবক’টি আসনেই তারা প্রার্থী দিয়েছিল। পুরভোটের প্রচারে বাধা পেয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত দৌড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি নির্বাচনের দিন অশান্তির জেরে ভোট বাতিলের দাবিও নিয়েও তারা শীর্ষ আদালতে জুরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়েছিল। শীর্ষ আদালত মামলা গ্রহণ করলেও সুপ্রিম শুনানি হয়নি।