নয়াদিল্লি: পুরসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরা জুড়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির সন্ত্রাসের জেরে অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি বলে দাবি করেছিল ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। ত্রিপুরা পুলিশকে দেখতে হবে রাজনৈতিক দলগুলি যাতে প্রচারে বাধা না পায়।
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ পুর নির্বাচনের প্রক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে। দু’সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্যে পুলিশের ডিজিকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এই নির্দেশ মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট সুনিশ্চিত করতে ত্রিপুরা সরকার এবং ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: গেরুয়া সন্ত্রাস, পুরভোটে আগরতলা ছাড়া প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল-সিপিএম
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নির্বাচনও যাতে অবাধ, সুষ্ঠু হয় তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা যাতে প্রচার করতে সেই বিষয়টিও সরকারকেই দেখতে হবে। অবাধ নির্বাচন করার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা হলফনামার মাধ্যমে জানাতে হবে স্বরাষ্ট্রসচিবকে। আগরতলা শহরে তৃণমূলের একটি সভা করার অনুমতি প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে তথ্য তলব করেছে আদালত। দু’সপ্তাহ পর এই মামলাটি ফের শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, এই রায় ত্রিপুরার প্রতিটি মানুষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগকে সুনিশ্চিত করবে। ত্রিপুরাবাসীর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করে যাবে বলে জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির। আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরসভা-সহ ত্রিপুরার ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোট। গণনা ২৮ নভেম্বর।
আরও পড়ুন: শরীরের শেষ রক্ত দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের জন্য লড়ব : অভিষেক