নয়াদিল্লি: বাংলা জয় শেষ। এ বার তৃণমূলের (TMC) পাখির চোখ দিল্লি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে (Loksabha Election) মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে জোড়াফুল শিবির। রাজধানী দিল্লিতেও শক্তি বাড়াতে চাইছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
আপাতত দিল্লির সাউথ এভিনিউয়ের একটি ছোট ফ্ল্যাট থেকেই সংগঠনের কাজকর্ম সারে তৃণমূল। দলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনও সেখানেই আয়োজিত হয়। ডেরেক ও ব্রায়েন, সৌগত রায় সহ অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরা এই অফিস থেকেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
দিল্লিতে তৃণমূলের আস্তানা বলতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট, মুকুল রায়ের ফ্ল্যাট আর এই পার্টি অফিস। এর মধ্যে মুকুলের ফ্ল্যাট নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। বাকি দুটি জায়গা থেকে কাজকর্ম পরিচালনা করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সে কারণেই দিল্লিতে নতুন পার্টি অফিস খুঁজছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরের আট ওয়ার্ডের ৬টাই তৃণমূলের, তবু অবাঙালি ভোটে ভরসা রেখে অর্জুনকে সারথি করছে বিজেপি
সূত্রের খবর, দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে একটি জায়গা পেয়েছিল তৃণমূল। প্রাথমিকভাবে কথাবার্তাও কিছুটা এগিয়েছিল। কিন্তু ওই জমিতে পার্টি অফিস তৈরি করতে গেলে একটি মন্দিরের কিছুটা অংশ ভাঙা পড়তো। সে কারণেই সেই জমি নিয়ে আর কথাবার্তা এগোয়নি তারা।
নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের নিয়ে চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি বরাবই তৃণমূলকে হিন্দু-বিরোধী দল বলে প্রচার করে। দীনদয়াল মার্গের ওই জমিতে পার্টি অফিস তৈরি না করে একদিকে যেমন হিন্দুত্বের বিষয়ে বিজেপিকে বার্তা দেওয়া গিয়েছে, ঠিক তেমনই তৃণমূল এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ‘শত্রু’র ডেরার কাছে আস্তানা গড়তে তারা আগ্রহী নয়।
সূত্রের খবর, আপাতত সেন্ট্রাল দিল্লিতে দুটি জায়গা নিয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই দুটি জায়গার মধ্যে একটিতে নতুন পার্টি অফিস তৈরি করতে পারে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ব্রাত্য-সুস্মিতার ত্রিপুরা সফরের মাঝেই আক্রান্ত তৃণমূল, কাঠগড়ায় বিজেপি
কলকাতাতেও দলের রাজ্য সদর দফতর ঢেলে সাজাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। নতুন তৃণমূল ভবনটি হবে তিন থেকে চারতলার। একটি ক্যান্টিনও থাকবে। মূল ভবনে দলের নেতাদের থাকার ব্যবস্থাও করা হবে। একটি বড় কনফারেন্স হল থাকবে। পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে সেজে উঠবে নতুন তৃণমূল ভবন।