ওয়েবডেস্ক: মর্মান্তিক পরিণতি! মাত্র আটাশেই স্তব্ধ জীবন। বিমান অবতরণের (Airplane landing) কিছুক্ষণ পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পাইলটের (Pilot)। কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিমানটি শ্রীনগর (Shrinagar) থেকে দিল্লিতে (Delhi) আসছিল। মৃতের নাম ক্যাপ্টেন আরমান (Captain Arman) ।
জানা গেছে, অবতরণের পরেই বিমানের ভিতরে হঠাৎ করে বমি করতে শুরু করেন ওই পাইলট। বলেন বুকে তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। তড়িঘড়ি এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান চালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন ওই কো পাইলট। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের তরফে বিবৃতিতে দিয়ে জানানো হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমরা আমাদের মূল্যবান এক সহকর্মীকে হারালাম। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। শোকের এই সময়ে আমাদের সমবেদনা তাঁর পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। এই বিশাল ক্ষতি মোকাবিলায় আমরা তাদের পাশে আছি, সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করছি’।
আরও পড়ুন: মানুষের দাঁত ভয়ংকর অস্ত্র নয়: বোম্বে হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর দিল্লি বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ চলাকালীন মৃত্যু হয় হিমানীল কুমারের। তিরিশ বছয় বয়সি হিমানীলের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। টার্মিনাল ৩-এ এয়ার ইন্ডিয়ার অপারেশন বিভাগে এই ঘটনাটি ঘটে। বিমানবন্দর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কুমারকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কুমারের বাবাও বিমান সংস্থার একজন সিনিয়র কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গত কয়েক বছরে ভারতীয় বিমান পরিচালনা সংস্থাগুলির বেশ কয়েক জন পাইলট কর্তব্যরত অবস্থার হৃদ্রোগে মারা গিয়েছেন। এর প্রধান কারণ হিসেবে প্রয়োজনীয় বিশ্রামের অভাব বলেই জানা গেছে।
এই আবহে দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন) ১ জুলাই থেকে বিমানচালকদের বিশ্রামের নতুন বাধ্যতামূলক বিধি কার্যকর করতে চলেছে। নতুন নিয়মে পাইলটদের সাপ্তাহিক বিশ্রাম ৩৬ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টা করা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: