নয়াদিল্লি: পেগাসাস ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। যা নিয়ে নিত্যদিন বিরোধীদের বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে সংসদের দুই কক্ষে। এবার লোকসভায় পেগাসাস নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের সাংসদেরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন ঘাস ফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- আইইডি হামলার পর এবার করাচিতে গুলিবিদ্ধ ২ চীনা নাগরিক
দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ হলেন অভিষেক। ২০১৪ সাল থেকে টানা দুই দফায় ওই কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন তিনি। সাংসদ জীবনের প্রথম দফায় সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছিলেন অভিষেক। সহকর্মী সাংসদদের সাহায্যে সেই জটিলতা কাটিয়ে ওঠেন তিনি।
আরও পড়ুন- বাংলার পরে এবার সারা দেশেই খেলা হবে, দিল্লিতে সাংবাদিকদের বললেন মমতা
পড়ে রাজনীতির ময়দানে থেকে অর্জন করেছেন অভিজ্ঞতা। ২০১৯ সালে CAA ইস্যুতে সংসদে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝড় তুলেছিলেন অভিষেক। ইংরেজিতে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি অভিষেকের গলায় শোনা গিয়েছিল বাংলা কবিতা। সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে বক্তব্য রখেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট জলপাইগুড়িতে, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পঞ্চায়েতের
সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অনেক বড় দায়িত্ব তাঁর কাঁধে দিয়েছে দল। বিধানসভা নির্বাচনেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই সাংসদের নেতৃত্বেই এ দিন সংসদে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের সাংসদেরা।
অভিষেক-সহ সকল তৃণমূল সাংসদদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। যেখানে লেখা, “আমরা কেউ জঙ্গি নই, তাহলে আমাদের উপরে কেন পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হল?”
সপ্তাহ দুই আগে প্রকাশ্যে এসেছে পেগাসাস কেলেঙ্কারির খবর। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে ইজরায়েলি সফটওয়্যারের সাহায্যে দেশের বহু সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল। এই নিয়েই বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সংসদের দুই কক্ষ।
আরও পড়ুন- ছাত্র বিক্ষোভ রুখতে ক্যাম্পাসে বাউন্সার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে বিতর্ক
বুধবার পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণের রণকৌশল স্থির করতে বৈঠক করলেন বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীরা। তৃণমূল ছাড়া প্রায় সকল অবিজেপি দলের প্রতিনিধি ছিলেন সেই বৈঠকে। বিজেপির পুরনো বন্ধু শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতও ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিরোধী নেতৃত্ব। যাদেরর হয়ে কথা বলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে পেগাসাস জাতীয়তাবাদ এবং বিশ্বাসঘাতকতার প্রশ্ন। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র আমাদের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হল। আমার কাছে এটা গোপনিয়তার প্রশ্ন নয়। এটা রাষ্ট্রদ্রোহের সমান। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ ভারতের গণতন্ত্রের আত্মাকে আঘাত করেছেন।”