কলকাতা: ত্রিপুরার পর এ বার তৃণমূলের পাখির চোখ গোয়া। ২০২২-এর শুরুতেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। মাসখানেক যাবত আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। ডেরেক ও’ব্রায়েন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া সহ দলের একাধিক শীর্ষনেতা নিয়ম করে সেখানে যাচ্ছেন। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরাও কাজ করছেন গোয়ায়।
এ বার গোয়ায় যাচ্ছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের দাবি, ২৮ অক্টোবর গোয়া যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিন এই রাজ্যে থাকবেন মমতা। ১ নভেম্বর বাংলায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ২৪ তারিখ উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মমতা। চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফর শেষে ২৮ তারিখ শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গোয়ার উড়ান ধরবেন মমতা।
আরও পড়ুন: মমতার দেখানো পথেই হাটছে কংগ্রেস, ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণাকে কটাক্ষ তৃণমূলের
মাসদুয়েক আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাত বারের বিধায়ক লুইজিনহো ফালেরিও। তার পর থেকে গোয়ায় বহরে বাড়ছে তৃণমূল। বিজেপি-কংগ্রেসের একাধিক নেতা-কর্মী নাম লেখাচ্ছেন জোড়াফুল শিবিরে। রাজধানী পানাজিতে তৃণমূল ঝাঁ চকচকে কার্যালয়ও খুলেছে। গোয়ার বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়কের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, মমতার গোয়া সফর চলাকালীন বেশকিছু বড় মুখ নাম লেখাতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তালিকায় একাধিক বর্তমান বিধায়কও এবং সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ রয়েছেন বলে খবর। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে গোয়ায়। তার আগে যত দ্রুত সম্ভব ঘর গোছাতে চাইছে তৃণমূল। সে কারণেই তৃণমূলের একের পর এক শীর্ষনেতা ঘন ঘন গোয়া যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এবার গোয়া দখলের লক্ষ্যে ময়দানে তৃণমূল
মাসখানেক আগেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক সংস্থার ২০০ কর্মী গোয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। ত্রিপুরার মতো এই রাজ্যেও কাজ করছেন পিকের সংস্থার কর্মীরা। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির ২৭, কংগ্রেসের ৫, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির ৩, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির ১, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির ১ এবং ৩ জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন।