আগরতলা: ত্রিপুরায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কর্মীদের ১৬ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আমবাসা জেলা আদালত৷ বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ ধৃতদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আমবাসা পুলিশ৷ এ দিন তাঁদের আদালতে তোলা হলে ১৬ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷
আরও পড়ুন- ভুয়ো কল সেন্টার খুলে কোটি টাকার জালিয়াতি, গ্রেফতার ১০
Today, Tripura Trinamool Congress organized a peaceful protest against the illicit arrest of our workers.
We strongly condemn such undemocratic moves of the @BJP4Tripura government.
Video courtesy: Tripurainfoway pic.twitter.com/uthTn5b1P7
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) August 10, 2021
এ দিন আমবাসা জেলা আদালতে যান রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক৷ ধৃত ৫ বিজেপিকর্মী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন৷ তাঁদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনাও করেন৷ টুইট করে সে কথা জানান মন্ত্রী মলয় ঘটক৷ তাঁর টুইট রিটুইট করে ত্রিপুরা তৃণমূলের তরফে বলা হয়, যে ভাবে রাজ্যজুড়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে তা ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ত্রিপুরার বিজেপি যে ভায়ের আবহও তৈরি হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না৷ এটা আইন বিরুদ্ধ৷ অবিলম্বে আমাদের চুপ করানোর চেষ্টা বন্ধ করতে হবে৷
Arresting @AITCofficial workers across the state shows how frightened @BJP4Tripura is by the presence of an Opposition that dares to speak up for the people of #Tripura!
This is unlawful and @BjpBiplab must immediately STOP trying to silence us.#TripuraDeservesBetter https://t.co/CtiUPfqml4
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) August 10, 2021
আরও পড়ুন- ক্লাস চালুর দাবিতে চট পেতে‘বৃক্ষ বিদ্যালয়’পড়ুয়াদের
গ্রেফতারের সময় কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানায়নি আমবাসা পুলিশ। এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ করেছে ত্রিপুরার রাজ্য নেতৃত্ব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসার পরেই সেখানে দলীয় কর্মীদের উপর পুলিশি অত্যাচার বেড়েছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বাড়ি থেকে তৃণমূল কর্মীদের ধরপাকড় চলাচ্ছে পুলিশ। বিজেপি ভয় পেয়ে আহত কর্মীদের উপর নির্যাতন করছে ভলে অভিযোগ করেন তিনি।
যারা হামলা করল মারল, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। জখম তৃণমূল কর্মীরা গ্রেপ্তার। আজও বাড়ি বাড়ি থেকে তৃণমূল কর্মীদের ধরছে। এতে প্রমাণিত ভয় পেয়েছে বিজেপি। https://t.co/PFHH2LlrD0
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 10, 2021
এমনকি রাজ্য থেকে তৃণমূলের কোনও নেতা গেলে তাদের থাকার জায়গা ও গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ত্রিপুরা: হোটেল, গাড়িমালিকদের হুমকি দিয়েছে, তৃণমূলকে ঘর, গাড়ি দেওয়া চলবে না।
বিজেপি ওখানে পাড়ায় ফুটো মস্তানি না দেখিয়ে rail, Air India, Indigo দের বলুক তৃণমূলকে টিকিট না দিতে!
আর কত লোক হাসাবে?
এইসব কান্ডে তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, কাজ হচ্ছে, তাই ভীত বিজেপি লাফাচ্ছে।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 10, 2021
আরও পড়ুন: অভিষেক ফিরতেই বিপাকে ত্রিপুরার তৃণমূলকর্মীরা
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের কোভিড পরীক্ষা করে ধোলাই জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা ও গ্রেফতারির ঘটনার পর রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক মঙ্গলবার আমবাসায় পৌঁছান। হামলা ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। আমবাসায় তৃণমূল যুব নেতৃত্ব দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্ত সহ ১১ জনকে মহামারী আইনভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারির ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু ও কুনাল ঘোষ। তৃণমূল যুব নেতৃত্বকে গ্রেফতার করায় খোয়াই থানায় পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের। এরপর জামিনে মুক্ত করা হয় ১১ জন তৃণমূল নেতাকে। আমবাসায় হামলার ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদেরই গ্রেফতার করায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন।