ওয়েব ডেস্ক: বিগত কয়েকদিনে প্রবল বৃষ্টি, ঝড় ও বজ্রপাতের (Thunderstorm) তাণ্ডবে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তর ভারতের (Northern India) বিস্তীর্ণ এলাকায়। আর প্রকৃতির এই ভয়াবহ দুর্যোগের কারণে বিহার (Bihar), উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ও ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (IMD Weather Forecast) অনুযায়ী, আগামী দু’দিন এই দুর্যোগ অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদি বিহারের কথা বলি, প্রবল বজ্রপাতের আঘাতে সেই রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮০ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র নালন্দা জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। এছাড়াও সিওয়ান, কাটিহার, দ্বারভাঙা, বেগুসরাই, ভাগলপুর ও জেহানাবাদ জেলাতেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের। পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। শনিবারও বিহারে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: আচমকা ধূলিঝড়ে লণ্ডভণ্ড রাজধানী, মৃত ১, এখন কী অবস্থা?
এদিকে উত্তরপ্রদেশের ১৫টি জেলায় দুর্যোগজনিত কারণে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফতেপুর, আজমগড়, ফিরোজাবাদ, কানপুর, কনৌজ, আমেঠী, গোন্ডা, গাজিপুর ও উন্নাও জেলাগুলিতে মারা গিয়েছেন অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি চাষের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
#WATCH | Visuals of severe infrastructural damage from Nalanda district in Bihar, where 18 people have died due to storm and lightning. pic.twitter.com/1FCMjnwRCA
— ANI (@ANI) April 10, 2025
ঝাড়খণ্ডেও বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। রাজ্যের ডালটনগঞ্জে সর্বাধিক ৩১.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাঁচি, ধানবাদ, কোডারমা ও হাজারিবাগে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। শিলাবৃষ্টির ফলে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবল ধূলিঝড় ও বজ্রপাতের জেরে দিল্লির জনজীবন ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে রাতে সাময়িকভাবে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সপ্তাহান্তে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ছাড়াও অসম ও অরুণাচল প্রদেশেও ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেখুন আরও খবর: