ইম্ফল: নতুন করে সংঘর্ষ ছড়াল মণিপুরে। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ মণিপুরের কাঙপোক্পি জেলায় তিনজনের মৃ্ত্যুর ঘটনা ঘটল। সূত্রের খবর, কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের তিনজন গ্রামবাসী একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কাঙপোক্পি জেলার ইরেং নাগা গ্রামের কাছে তাঁদের উপর চড়াও হয়। নিহত তিনজনের নাম সাতনিও তুবোই, এনগামিনলুন লুভুম এবং এনগামিনলুন কিপগেন।
মণিপুরে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত চলছে। প্রায়ই সংঘর্ষ ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার,পাল্লেলে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণের পরে কমপক্ষে দুই জন নিহত হন।
দীর্ঘ তিন মাসের বেশির সময় ধরে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর হিংসায় জ্বলছে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, ধীরে-ধীরে শান্ত হচ্ছে মণিপুর (Manipur)। অশান্তি রুখতে তদন্তের স্বার্থে নজিরবিহীন পদক্ষেপ সিবিআইয়ের। মণিপুরে মহিলাদের যৌন নির্যাতন, ও রক্তক্ষয়ী হিংসা রুখতে তদন্তে ৫৩ সদস্যের টিম তৈরি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। ৫৩ সদস্যের দলের ২৯ জনই মহিলা। যার মধ্যে ডিআইজি পদমর্যাদার দুই মহিলা আধিকারিক রয়েছেন। সিবিআই সূত্রের খবর, এই প্রথম কোনও তদন্ত প্রক্রিয়ায় এত বিপুল সংখ্যক মহিলা আধিকারিককে নিয়োগ করা হল। টিমে তিনজন ডিআইজি রয়েছে – লাভলী কাটিয়ার, নির্মলা দেবী এবং মোহিত গুপ্তা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার গাফিলতিতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ মে মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো, গণধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের তিনটি ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের। এই ঘটনাগুলির তদন্তে ৫৩ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার দুই মহিলা আধিকারিক লাভলি কাটিয়ার ও নির্মলা দেবী। পাশাপাশি হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এছাড়া রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের তদন্তেও নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী।